ক্লাসরুমে সিঁদুরদান, মালাবদল। যে অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ উঠেছিল, তিনি ইস্তফা দিলেন পদ থেকে। হরিণঘাটায় মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বা ম্যাকাউট-এর ওই অধ্যাপিকা রেজিস্ট্রারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে কলেজ ছাড়ার কথা জানিয়েছেন বলে খবর। সকাল থেকে তাঁর মোবাইল ফোন সুইচড অফ। ফেসবুকের প্রোফাইলটিও দেখা যাচ্ছে না। অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তীকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জবাব দেননি মেসেজেরও।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় (সেই ভিডিয়োর সত্যতা এই সময় অনলাইন যাচাই করেনি)। ম্যাকাউট-এর ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে এক ছাত্রের সঙ্গে মালাবদল, সিঁদুরদান করতে দেখা যায় মনস্তত্ত্ববিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ওই অধ্যাপিকাকে। একেবারে ঝলমলে শাড়ি, গয়না, মালা, শাখা, সিঁদুর পরে পান পাতা হাতে নিয়ে বিয়ের পর্ব সারেন ওই অধ্যাপিকা। ভিডিয়োয় তাঁকে খুবই উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছিল। বরং ওই ছাত্রের মুখ দেখাচ্ছিল ম্রিয়মান।
এই ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ফেসবুকে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ওই অধ্যাপিকা। এই ভিডিয়ো নাটকের অংশ বলে দাবি করেন তিনি। জানান, ভিডিয়োতে আরও অনেক কিছু ছিল। সে সব বাদ দিয়ে ওই টুকু অংশ তুলে ধরা হয়েছে তাঁর সম্মানহানি করার জন্যই। এ নিয়ে জল অনেক দূর গড়ায়।
ম্যাকাউট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্টে স্পষ্ট দাবি করা হয়, ছাত্রের সঙ্গে অধ্যাপিকার বিয়ে করার বিষয়টি একেবারেই কোনও নাটকের অংশ নয়। শিক্ষার পাঠ্যক্রমেরও বিষয় নয়। বরং মজা করার জন্য তা করা হয়েছে। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এই ধরনের মজা কি সত্যিই বাঞ্ছনীয়? একজন অধ্যাপিকা এরকম মজা করতে পারেন? বিশেষ করে ওই ছাত্রের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়তে শুরু করে। এই আবহে সামনে এলো ওই অধ্যাপিকার ইস্তফার বিষয়টি।