• যুবককে অপহরণ করে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি, দেড় ঘণ্টায় উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ
    আনন্দবাজার | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • পরিবারের সদস্যদের শাসিয়ে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার এক বাড়ি থেকে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ উঠল কয়েক জনের বিরুদ্ধে। কিন্তু অভিযোগ জমা পড়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই অপহৃত যুবককে হাওড়া থেকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চার অভিযুক্তকেও।

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হলেন সঞ্জয় রজক, রাজেশ মল্লিক, সোনু মল্লিক এবং বিশাল যাদব। ঘটনাটি রবিবারের। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন দুপুর ২টোয় প্রগতি ময়দান থানা এলাকার বাসিন্দা দিলীপ কুমারের বাড়িতে সঞ্জয়রা যান। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে দিলীপ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ধমকানো, শাসানো হয়। তার পর তাঁর পুত্র প্রিন্সকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যান অপহরণকারীরা।

    দিলীপের দাবি, কিছু ক্ষণ পরেই তাঁর ফোনে হোয়াট্‌সঅ্যাপে ভিডিয়ো কল আসে। সেই ভিডিয়ো কল করেছিলেন দিলীপের পুত্র। তিনি জানান যে, সঞ্জয় রজক তাঁকে কোনও একটি জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন সেটা বলতে পারেননি। তার কিছু ক্ষণ আবার ফোন আসে। এ বারও দিলীপের পুত্রের ফোন ব্যবহার করেন অপহরণকারীরা। দিলীপের দাবি, ফোনে তাঁকে বলা হয় যে, ছেলেকে সশরীরে ফিরে পেতে হলে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা নিয়ে কোথায় আসতে হবে, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়।

    দিলীপের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। অভিযুক্ত সঞ্জয় দিলীপকে জানিয়েছিলেন, হাওড়ায় টাকা নিয়ে আসতে হবে। সেই মতো দিলীপকে টাকা নিয়ে যেতে বলে পুলিশ। তাঁর গতিবিধির উপর নজর রেখে পুলিশও হাওড়ায় পৌঁছয়। ওসির নেতৃত্বে পুলিশের দলটি অপহরণকারীদের ধরার জন্য দূর থেকেই নজর রাখছিল। ফোনের ওপার থেকে সঞ্জয়ের নির্দেশ মতো এ গলি-সে গলি হয়ে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছন দিলীপ। পুলিশও তাঁকে ছায়ার মতো অনুসরণ করছিল। দিলীপের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময়েই অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। অভিযোগ জমা পড়ার পর গোটা অভিযান চালিয়ে দেড় ঘণ্টার মধ্যে প্রিন্সকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত রজকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন দিলীপ। সেই টাকা দিচ্ছিলেন না তিনি।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)