• ফেসবুক প্রেমের দিব্বি গেলে সরস্বতী পুজোয় নাবালিকাকে বিয়ে, ছাত্রীকে বাড়ি ফেরালেন বিডিও
    এই সময় | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সরস্বতী পুজোর দিনে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নাবালক। কিন্তু ফেরে এক নাবালিকাকে বিয়ে করে। আর এই কাণ্ড দেখে হতবাক তার পরিবার। যদিও নাবালক-নাবালিকার এই বেআইনি বিয়ে ভাঙল প্রশাসন। মঙ্গলবার কাকভোরে বিডিও থেকে শুরু করে প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা নাবালকের বাড়ি গিয়ে ওই নাবালিকাকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করেন।

    নাবালকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানার বালা গ্রামে। জানা গিয়েছে, বালার ১৭ বছরের নাবালকের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় ঘাটালের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুক গ্রামের নবম শ্রেণির বছর ১৪-র ছাত্রীর। আর সেই পরিচয় থেকেই প্রেম। সোমবার সরস্বতী পুজোর দিনে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিল ওই নাবালক। এরপর সে সটান পৌঁছয় নাবালিকার স্কুলে। সেখান থেকে বাইকে করে তাকে তুলে পৌঁছয় স্থানীয় মন্দিরে। সেই মন্দিরেই ধুমধাম করে তাদের বিয়ে হয়। শুধু তাই নয়, নাবালক বন্ধুদের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও করে। এরপর গভীর রাতে ‘বৌ’ নিয়ে বাড়ি পৌঁছয় নাবালক। 

    এ দিকে নাবালক এবং নাবালিকার বিয়ে করার বিষয়টি জানতে পারে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার ভোরে নাবালক পাত্রের বাড়িতে পৌঁছে যান চন্দ্রকোণা দু'নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক। কনের সাজে থাকা নাবালিকা এবং বরের সাজে থাকা নাবালককে নিয়ে যাওয়া হয় বিডিও অফিসে। খবর দেওয়া হয় নাবালিকার পরিবারকেও। এরপর উভয় পক্ষকে সরকারি আইন বোঝানো হয়। এই বিয়ে আইনসঙ্গত নয় এবং নির্দিষ্ট বয়সে না পৌঁছনো পর্যন্ত তারা বিয়ে করবে না, এই মর্মে মুচলেকা লিখিয়ে নাবালিক এবং নাবালিকাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। 

    জানা গিয়েছে, ওই নাবালক স্কুলছুট। রাজমিস্ত্রিদের সহকারী হিসেবে কাজ করে সে। অন্যদিকে, ওই নবম শ্রেণির ছাত্রী অত্যন্ত মেধাবী। মেয়ে বাড়ি ফিরে আসার পরে খুশি তার পরিবার। অন্যদিকে, বিডিও উৎপল পাইক বলেন, ‘আমরা শুনেছি মেয়েটি পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো। সে যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেই বিষয়ে ঘাটাল ব্লকের বিডিও-র সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)