আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এক সপ্তাহের মধ্যে আলিপুর সিবিআই আদালতে চার্জ গঠন করতে হবে, গত ২৮ জানুয়ারি এই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার আলিপুরের সিবিআই আদালত নির্দেশ দিল, আগামিকাল বুধবার(৫ ফেব্রুয়ারি) এই মামলার চার্জ গঠনের শুনানি হবে। এ দিন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা সিবিআই-এর দেওয়া নথি নিয়ে একাধিক আপত্তি তোলেন। কিন্তু, আদালত স্পষ্ট জানায়, আগামী বুধবারই এই মামলার চার্জ গঠনের শুনানি হতে চলেছে।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ এই সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করে গত শুক্রবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত নথি আদালতে নিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি ওই দিনে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তদের আইনজীবীদের হাতে।
মঙ্গলবার মামলাটির ফের শুনানি হয় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সুমন হাজরা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বেআইনি ভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে অন্যান্য সংস্থাগুলিকে বঞ্চিত করেছিলেন তিনি। এ দিন আলিপুর আদালতে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘সিবিআই-এর তরফে যে ১৫ হাজার পাতার নথি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে জরুরি নথি খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ অনেক খোলা পাতা (লুজ শিট) রয়েছে। কোন ইন্ডেক্স কত পাতায় রয়েছে, তার উল্লেখ নেই। এই পরিস্থিতিতে ডিসচার্জ পিটিশন ফাইল করা যায়নি।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘আজমল কাসভও ন্যায্য বিচারের সুযোগ পেয়েছিল। সে এই সুযোগ পেলে আমাদেরও সেই সুযোগ পাওয়া উচিত।’
পাল্টা সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানান, সমস্ত নথি সিবিআই-এর তরফে দেওয়া হয়েছে। কোন নথি দেওয়া হয়নি, তাও জানতে চান তিনি।
এ দিন বিচারক স্পষ্ট জানান, বুধবারই মামলার চার্জ গঠনের শুনানি। এই দিনই অভিযুক্তদের আইনজীবীদের তিনি ডিসচার্জ ফাইল পিটিশন করার কথাও বলেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সন্দীপ ঘোষ, বিপ্লব সিংহ, আফসার আলি খান এই তিন জনের তরফে তাঁদের আইনজীবীরা ডিসচার্জ পিটিশন জমা করেছেন।