খাস কলকাতার বুকে ব্যবসায়ীর ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গান পয়েন্টে রেখে যুবককে অপহরণ করা হয়। বাড়িতে ঢুকে বাবা-মায়ের সামনেই এই ঘটনা ঘটানো হয়। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই অপহৃত কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ।
অপহরণের পর মোটা টাকা মুক্তিপণ চাইতেই আর দেরি না করে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যবসায়ী। এরপর পুলিশের পরামর্শ মতোই টাকা নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। এদিকে পুলিশও সাদা পোশাকে তাঁকে ফলো করতে শুরু করে। এরপর যেই মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ছেলেকে ফেরত পান ওই ব্যবসায়ী, তখনই হাতেনাতে অপহরণকারীদের ধরে ফেলে পুলিশ। জানা গিয়েছে ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণেই এই অপহরণের ঘটনা। অপহরণকারীদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কলকাতার প্রগতি ময়দান থানা এলাকার বাসিন্দা দিলীপ কুমার নামে এক ব্যবসায়ীর ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় ২ ফেব্রুয়ারি। অভিযোগকারী দিলীপ কুমার জানান, সঞ্জয় রজক নামে এক ব্যবসায়ী আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে আসেন। এরপর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর ওই ব্যবসায়ীর ১৯ বছরের ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ব্যবসায়ীর কাছে ফোন আসে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে। জানানো হয়, ছেলেকে ফিরে পেতে হলে হাওড়ায় এসে ওই টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে হবে। এরপরই প্রগতি ময়দান থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন দিলীপ কুমার নামে ওই ব্যবসায়ী। এরপর পুলিশ প্রিন্স কুমারকে উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অপহৃতর বাবা অভিযুক্ত অপহরণকারীর থেকে দেড় লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা বারবার চাওয়ার পরেও শোধ করেননি বলে অভিযোগ। সেই কারণেই অপহরণ করা হয় বলে দাবি ধৃতদের।
অপহৃত কিশোরের বাবা পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী। অপহৃত কিশোরের দাবি, বাড়িতে ঢুকে হঠাৎ তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওই গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। হাওড়ার পিলখানা রোডের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে ভিডিয়ো কল করে তার বাবার থেকে দেড় লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। যে নম্বর থেকে ভিডিয়ো কল করা হয়েছিল, সেই নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ হাওড়ায় পৌঁছয় ও কিশোরকে উদ্ধার করে।