নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। খুনের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং! একাধিক পোস্টারে এই দাবি করা হয়েছে। ভাটপাড়া পুরসভার গেটে এই পোস্টার পড়েছে। এছাড়াও নৈহাটির অন্যত্রও এই পোস্টারের দেখা মিলেছে। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বিজেপির বক্তব্য, আসল দোষীদের না ধরে প্রাক্তন সংসদ অর্জুন সিং ও বিজেপি নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে চাইছে তৃণমূল।
শুক্রবার দুপুরে নৈহাটির গৌরীপুর এলাকায় খুন হন তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদব। তাঁকে থেঁতলানোর পর গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। বারাকপুরের বর্তমান সাংসদ পার্থ ভৌমিক, নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে এই ঘটনায় সরাসরি অর্জুন সিংকে কাঠগড়ায় তোলেন। তাঁদের দাবি, বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের মদতেই তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদবকে খুন করা হয়েছে। আগেই নৈহাটি জুড়ে অর্জুনের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল।
ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের ভাটপাড়া শহর সভাপতি দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, অর্জুন সিংয়ের ন্যক্কারজনক চেহারাটা দেখেছে মানুষ। সেই কারণেই মানুষ এবার পার্থ ভৌমিককে জিতিয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি যে খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন, সেই ঘটনায় জনসমক্ষে তুলে ধরতে পোস্টার লাগানো হয়েছে। অর্জুন ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডে বলেন, ওরা যত পোস্টার লাগাবে বিজেপি তত শক্তিশালী হবে আসল দোষীদের না ধরে প্রাক্তন সংসদ অর্জুন সিং ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসাতে চাইছে তৃণমূল।
শুক্রবার দুপুরে গৌরীপুরে টোটো চড়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা পথ আটকে খুন করে সন্তোষ যাদব নামে এক তৃণমূল কর্মীকে। বছর চল্লিশের সন্তোষকে প্রথমে ইট দিয়ে থেঁতলানোর পর গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
গৌরীপুর জুটমিল লাইনে বিজেপি কর্মী কানাই সাউয়ের বাড়ি ভাঙচুর হয়। গড়িফার বিজেপি সমর্থক বিকাশ কুমার সিংয়ের এক অনুষ্ঠান বাড়িতে আগুন লাগানো ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অর্জুন সিংয়ের অন্যতম পার্টি অফিস, সিং ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে এই সিং ভবন থেকেই বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং তাঁর যাবতীয় নির্বাচনী কাজকর্ম চালাতেন।