বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (বিজিবিএস) এ বার অন্যতম প্রধান অতিথি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে। বুধবার নিউ টাউনে অনুষ্ঠিতব্য বিজিবিএস-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা তাঁর। তার আগে মঙ্গলবার বিকালে তাঁর আসা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘‘ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তো আমাকে গত অক্টোবর মাসে কনফার্ম (নিশ্চিত) করেছিলেন তিনি আসবেন। এখন জানি না দিল্লির সঙ্গে কী আছে!’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘আমি এখনও পর্যন্ত জানি উনি আসবেন।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে এ-ও প্রশ্ন করা হয়, দিল্লি ভুটানের রাজাকে বাংলায় আসার ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে বলে কি তিনি মনে করছেন? জবাবে মমতা বলেন, ‘‘সেটা আমি বলছি না।’’
অন্যদিকে সোমবার ভারত সফরে এসেছেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক। উত্তরপ্রদেশে সোমবার যখন বিমানবন্দরে নামেন, তখন তাঁর পরনে ছিল ভুটানের পুরুষদের ঐতিহ্যশালী পোশাক ঘো (হাঁটুর নীচ পর্যন্ত লম্বা) এবং কেরা (বেল্ট)। বিমানবন্দরে নামতেই যোগী তাঁর গায়ে একটি গেরুয়া উত্তরীয় পরিয়ে দেন। মঙ্গলবার দেখা গেল যোগীর সঙ্গে পুণ্যস্নান করার সময়ে সেই রাজার পরনে ছিল গেরুয়া কুর্তা এবং পাজামা। স্নানের আগে সূর্যপুজোতেও অংশ নেন ভুটানের রাজা। মহাকুম্ভ উপলক্ষে নবনির্মিত মহামণ্ডলেশ্বরে স্নান সারেন ওয়াংচুক এবং যোগী।
এ বার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। উল্লেখ্য, দু’মাস আগে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়েছিলেন হেমন্ত। মমতার সময়ের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে নিজের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় সকালের বদলে পিছিয়ে বিকালে করেছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান। রাঁচিতে হেমন্তের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজিরও ছিলেন মমতা। এ বার সেই হেমন্তকেই বিজিবিএস-এর প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির করছে রাজ্য সরকার। যা সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী পরিসরে ‘আঞ্চলিক দলের ঐক্য’ হিসাবে তুলে ধরার প্রয়াস হিসাবেও অভিহিত করা হচ্ছে। বাংলায় আগামী বছর বিধানসভা ভোট। তার আগে এই শিল্প সম্মেলন মমতার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।