সংসদে ভারতের সঙ্গে-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছিলেন উলুবেড়িয়ার তৃণমূল সাংসদ শাজদা আহমেদ। মঙ্গলবার লিখিত ভাবে সেই সব প্রশ্নের জবাব দিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
শাজদার প্রশ্ন ছিল, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত কতটা? কত কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে এবং কতটা জায়গায় নেই? যে জায়গায় কাঁটাতারের ফেন্সিং নেই, সেখানে কেন নেই? পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে লিখিত জবাবে জানানো হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ৪০৯৬.৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৩২৩২.১৮ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, ৮৬৪ কিলোমিটারে এখনও বেড়া দেওয়া বাকি। তবে এর মধ্যে আবার ১৭৪ কিলোমিটারে বেড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এর নেপথ্যে কী কারণ, তা লিখিত জবাবে স্পষ্ট না করলেও, ওয়াকিবহাল মহলের মতে ভৌগোলিক কারণই গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে এমন রাজ্যের তালিকায় রয়েছে অসম এবং ত্রিপুরাও। যদিও কেন্দ্র স্পষ্ট করে বলেনি, কোন রাজ্যে কত কিলোমিটার ফেন্সিং দেওয়া বাকি।
বাংলায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছে, রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না বলে বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তের অনেকাংশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। সেই অংশ দিয়ে অনুপ্রবেশ হচ্ছে বলেও অভিযোগ পদ্মশিবিরের। কেন্দ্রও শাজদার প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছে, যে এলাকায় এখনও ফেন্সিং দেওয়া সম্ভব হয়নি, সেখানে মূল কারণ জমি অধিগ্রহণ। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য রাজ্য ৯.৯ একর জমি দেবে। এর মধ্যে মালদহে সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সংঘাতও হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে সংসদে শাজদার প্রশ্ন ছিল ‘তাৎপর্যপূর্ণ’, যার জবাব দিল কেন্দ্র।