• মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান রচনার, ‘খুবই ভালো ব্যবস্থাপনা’, প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূল সাংসদ
    এই সময় | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এ বার যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে গিয়ে প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিনে তিনি কুম্ভস্নান সারেন। তাঁর পরনে ছিল গেরুয়া পোশাক। শুধু তাই নয়, কুম্ভের ব্যবস্থাপনার প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। 

    চলতি বছর ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। তা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ আসে। এই বছর প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করার জন্য সেখানে গিয়েছেন বহু মানুষ। বাদ পড়লেন না রচনাও। 

    তিনি ত্রিবেণী সঙ্গমে অমৃত স্নানের পর বলেন, ‘কুম্ভ মেলায় খুব ভালো ব্যবস্থাপনা। হোটেলে যাঁরা থাকতে পারছেন না বিভিন্ন কারণে তাঁদের জন্য রাস্তার ধারে ত্রিপল টাঙানো হয়েছে। রাস্তার ধারে অসংখ্য শৌচাগার। ফলে সমস্যার কারণ নেই। খুবই ভালো ব্যবস্থাপনা।’

    তিনি ‘এই সময় অনলাইন’-কে বলেন, ‘ সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য অনেক দূর থেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেলিব্রিটিদেরও হেঁটে যেতে হচ্ছে। স্নানের জায়গাতেও খুব ভালো ব্যবস্থা। চারিদিকে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। অঘটন ঠেকাতে সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে।’ 

    কিছুদিন আগেই কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বাংলারও একাধিক বাসিন্দা ছিলেন। এরপরেই যোগী প্রশাসনের ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূলের বহু নেতা। এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নিশ্চয়ই একটা ঘটনা ঘটেছে। তা খুবই উদ্বেগের এবং দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনার পরে প্রশাসন আরও সজাগ হয়েছে।’

    রচনার কুম্ভস্নানের ভিডিয়োও সামনে এসেছে। তাঁকে দেখা গিয়েছে গেরুয়া পোশাকে। তিনি বলেন, ত্রিবেণী সঙ্গমে পিতৃপুরুষের জন্য তর্পণ করতে পেরেছি। এর থেকে আর কী বা ভালো হতে পারে। স্নানের পর বাবার কথা ভেবে আবেগরুদ্ধ হয়েছিলাম।  ১৪৪ বছর পর এই মহাকুম্ভ। এই অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। 

  • Link to this news (এই সময়)