ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে প্রবল ঝগড়া। তার কয়েক সেকেন্ড পরেই নদীতে ঝাঁপ তরুণীর। অচেনা ওই তরুণীর প্রাণ বাঁচাতে জীবনের তোয়াক্কা না করে সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপান এক তরুণ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মালদায় ফুলহার নদীর উপরে অবস্থিত ভুতনি ব্রিজে।
এ দিন বন্ধুদের সঙ্গে এই ব্রিজে বেড়াতে গিয়েছিলেন লিটন আলি নামে এক তরুণ। ওই সময়েই ব্রিজে দাঁড়িয়ে কারও সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলছিলেন এক তরুণী। স্থানীয়দের দাবি, কিছুক্ষণ কথা বলার পরে ফোনটি পাশে দাঁড়ানো এক শিশুকে দিয়ে সটান নদীতে ঝাঁপ দেন ওই তরুণী। প্রথমে সকলেই হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। চারিদিক থেকে আওয়াজ ভেসে যায়, ‘কেউ বাঁচা রে’। কিন্তু কে নদীতে নেমে সাহায্য করবেন ওই তরুণীকে? তা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই আলোচনা করছিলেন স্থানীয়রা।
সেই সময়ে কোনওদিক ভাবনা চিন্তা না করে সটান নদীতে ঝাঁপ দেন লিটন আলি। তিনি সাঁতার কাটতে পারদর্শী। ফলে তরুণীকে টেনে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসতে তাঁর বিশেষ অসুবিধা হয়নি। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন আরও কয়েকজন যুবক। তরুণীটিকে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
লিটন জানান, তিনি আগে ওই তরুণীকে কোনওদিন দেননি। তিনি তাঁর পূর্বপরিচিতও নন। তাঁকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য তড়িঘড়ি নদীতে ঝাঁপানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘কী কারণে ওই তরুণী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। ও এলাকার বাসিন্দা নয়।’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘স্থানীয় এক যুবক ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন। পুলিশ তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। আপাতত তাঁকে সুস্থ করে তোলাই আমাদের কাছে প্রাথমিকতা। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে।’