• ১৫ জোড়া পাত্র-পাত্রীর বিয়ে, অসহায় পরিবারের পাশে খড়্গপুরের ক্লাব
    এই সময় | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ‘যদিদং হৃদয়ং তব, তদিদং হৃদয়ং মম...!’ ছাদনার চেনা প্রথা আগেই ভেঙে দিয়েছেন নন্দিনী ভৌমিক, রোহিণী পাল, ধৃতি চট্টোপাধ্যায়, গার্গী চক্রবর্তী, কৈশিকী বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এ বারে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে গণবিবাহের মঞ্চে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন সোমদূতি চক্রবর্তী, প্রিয়াঙ্কা কর্মকাররা। এক সঙ্গে সাত জোড়া বর-কনের বিয়েতে মন্ত্রোচারণ করলেন খড়্গপুরের মালঞ্চর বাসিন্দা সোমদূতি চক্রবর্তী বর্মণ।

    সোমবার সন্ধ্যায় খড়্গপুরের তালবাগিচার বাজার সংলগ্ন মাঠে বসেছিল গণবিবাহের আসর। স্থানীয় ভোল্কান ক্লাব-র উদ্যোগে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের ১৫ জোড়া পাত্র-পাত্রীর বিয়ে দেওয়া হয় এ দিন। ৭ জোড়া পাত্র-পাত্রীর বিয়ে দেন মহিলা পুরোহিতেরা। বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। নব দম্পতিকে আশীর্বাদ করলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক সুজয় হাজরা ও পৌরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ।

    বিয়ের রীতি মেনে হল গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে সমস্ত অনুষ্ঠান। নব বধুকে বিদায়ের সময় উপহার হিসেবে দেওয়া হয় নতুন চারটি শাড়ি, ট্রলিব্যাগ, খাট-বিছানা, বাসনপত্র থেকে সাইকেল। বিয়ের পর ছিল ভুরিভোজের ব্যবস্থাও। মেনু ছিল কাশ্মীরি আলুর দম আর পোলাও।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে দুঃস্থ পরিবারের ‘সহায়’ হয়ে গণবিবাহ দিয়ে আসছে খড়্গপুরের তালবাগিচার এই ভোল্কান ক্লাব। ক্লাবের সভাপতি দীপঙ্কর দাস ও সম্পাদক সুব্রত তাপালি বলেন, ‘অনেক দরিদ্র বাবা-মা অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না। সেজন্য ২০১৭ সাল থেকে আমরা গণবিবাহ অনুষ্ঠানের সূচনা করে আসছি। প্রথম বছর ১১ জোড়া পাত্র-পাত্রীর বিবাহ দিয়ে পথ চলা শুরু। করোনা অতিমারির কারণে মাঝে অবশ্য দু’বছর তা বন্ধ ছিল। এই উদ্যোগ আমাদের হলেও, অসংখ্য মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। আর্থিক অনুদান করেন।’

  • Link to this news (এই সময়)