এই সময়: ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে রাতারাতি একেবারে প্রায় পাঁচ ডিগ্রি পতন পারদের! সোমবার ভোরে দক্ষিণবঙ্গের যখন ঘুম ভেঙেছিল, তখন শীতের লেশমাত্র ছিল না। বেলা একটু বাড়তে রীতিমতো ঘামের অনুভূতি হয়েছিল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডিগবাজি আবহাওয়ার। মঙ্গলবার ভোররাতে কলকাতার তাপমাত্রা নেমে গেল ১৭.৪ ডিগ্রিতে। শীতের আমেজ ফেরায় দক্ষিণবঙ্গ খুশি। তবে এই আনন্দের মেয়াদ খুব বেশি হলে ৪৮ ঘণ্টা — এমনই জানাচ্ছেন আবহবিদরা।
উত্তর–পশ্চিম ভারতে তৈরি হওয়া ঝঞ্ঝার দৌলতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দেশের মধ্যে ঢুকে আসা ঠান্ডা হাওয়ার স্রোত। তার প্রভাবেই উত্তর ভারতের সমভূমি থেকে শুরু করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত অনেকটা জায়গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণবঙ্গের অনেক এলাকায় রাতের তাপমাত্রা ১৬ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। তারই মধ্যে কি খুলে গেল উত্তর–পশ্চিমের ‘জানালা’?
মঙ্গলবার ভোরে কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রায় পতন সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবহবিদরা অবশ্য জানিয়েছেন, সাময়িক ভাবে ঝঞ্ঝা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ার ফলেই এমন হয়েছে। তবে একই সঙ্গে তাঁরা বলছেন, ‘খুব বেশি হলে ৪৮ ঘণ্টা এমন অবস্থা থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে ফের বাড়তে শুরু করবে রাতের তাপমাত্রা।’
কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের অনেকটা জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বড় রকমের পতন হলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিন্তু ঊর্ধ্বমুখীই। এ দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত প্রায় ১৫ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অল্প হলেও নীচে ছিল।
কিন্তু মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি উপরে উঠেছিল। আলিপুর হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬ ডিসেম্বর শেষ বার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল। তার ৬০ দিন পর ফের এমন হলো। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবার (৩১.৩), পানাগড় (৩০.৮), পুরুলিয়া (৩০.৩), কলাইকুণ্ডা (৩০.২), বাঁকুড়া (৩০.১) এবং মগরা, সিউড়ি ও ঝাড়গ্রামের (৩০) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছেছে।
আবহবিদদের একাংশের আশঙ্কা, ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার আগেই গোটা দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির ঘর ছুঁয়ে ফেলবে।