এ বার একেবারে প্রেমিকের ভূমিকায় রাজ চক্রবর্তী। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর প্রেমিকা। তবে এই প্রেম স্রেফ দুই পরিণত মানুষের প্রেম নয়। নিছক দাম্পত্য প্রেমও নয়। পেরেন্টিং ও প্রেম যে হাত ধরাধরি করে পথ চলতে পারে, ভালোবাসার মাসে এ কথা সোচ্চারে ঘোষণা করছেন রাজ–শুভশ্রী। মনে হতে পারে এ কোনও নতুন ফিল্ম।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে–র আবহে পোস্টারে কি দেখা যাবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত রাজ চক্রবর্তীর ছবি? সে সব কিছুই নয়। এ হলো রাজ–শুভশ্রীর জীবনের চিত্রনাট্য। মঙ্গলবার কলকাতা বুকফেয়ারে ‘এই সময়’–এর স্টলে এসে যে কথা সোচ্চারে শুনিয়ে গেলেন দু’জন।
১৭ বছর পরে বুকফেয়ারে পা রাখা শুভশ্রীর। এই সময় ‘দীপ্তি’–র মুখ এ বার শুভশ্রী। যা নিয়ে এতদিন পরে বুকফেয়ারে ফিরে আসার মতোই তাঁকে নস্ট্যালজিক করে তুলল। শুভশ্রীর বক্তব্য, ‘আমি বর্ধমানের মেয়ে। এমনই কোনও বিউটি পেজেন্ট থেকে উঠে এসেছি। তাই দীপ্তি নিয়ে উত্তেজনার পাশাপাশি একটা আবেগও রয়েছে।’
সেলুলয়েড নয়, ভালোবাসার উপলব্ধি সেলিব্রিটি দম্পতির জীবন থেকে নেওয়া। শুভশ্রীই প্রথম মুখ খুললেন, ‘বিয়ের আগে যখন রাজের সঙ্গে প্রেম করতাম, তখনকার চেয়ে যত দিন যাচ্ছে ভালোবাসা তত বেড়ে যাচ্ছে। এখন রাজকে নিয়ে হাজার, হাজার, হাজার গুণ বেশি ভালো লাগে।’ ‘হম দো, হমারে দো’–র সুখী সংসার তাঁদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করছে বলে দাবি রাজের।
তাঁর কথায়, ‘আমাদের সম্পর্কের যত বয়স বাড়ছে, তত বেশি করে শুভশ্রীকে আবিষ্কার করছি। সম্পর্কের আরও গভীরে যাচ্ছি।’ এখানে শেষ নয়। সন্তানের বাবা–মা হওয়ার অনভূতি তাঁদের ভালোবাসার বৃত্তকে সম্পূর্ণ করেছে। রাজের সংযোজন, ‘শুভশ্রী তো আছেই, আমাদের ভালোবাসাকে আরও পরিপূর্ণ করেছে দুই সন্তান ইউভান আর ইয়ালিনি।’
টলিউডের সফল জুটির মুখে পেরেন্টিংয়ের কথাই বেশি। তবে টিপিক্যাল বাবা–মা হওয়ার বদল গোড়া থেকেই বন্ধু হয়ে চলতে চান তাঁরা। শুভশ্রী যেমন বললেন, ‘আমার ছেলে নিজের সিদ্ধান্তের কথাটা নিজেই জানায়।’
এক ধাপ এগিয়ে রাজের স্মৃতিচারণায় উঠে এল ‘আমার মেয়ের বয়স ১৪ মাস। ও তো ভালো ভাবে এখনও কথা বলতে শেখেনি। কিন্তু নিজের ভালো–মন্দটা বুঝিয়ে দেয় খুব ভালো মতো। মাকে জিজ্ঞেস করছিলাম, ওই বয়সে আমিও কি ওই রকম ছিলাম? মা বলল, একেবারেই নয়।’ যুগ বদলেছে। বদলায়নি শুধু ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে–ভাতে’–র ক্যাচলাইনই। যা বুঝিয়ে গেলেন রাজ–শুভশ্রীর মতো তারকা দম্পতিও।