• লটারি জিতে কোটিপতি রঘুনাথগঞ্জের রাজমিস্ত্রি
    বর্তমান | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: মহবুল শেখ ওরফে টোটোন নির্মাণ শ্রমিক। বাস রঘুনাথগঞ্জ থানার বড়শিমূল পঞ্চায়েতের নয়াপাড়া গ্রামের এক কামরার একটি বাড়িতে। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে টানাটানির সংসার। ভাগ্যের চাকা যে এভাবে ঘুর যাবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। 


    গত রবিবার আসানসোলে কাজ সেরে ভাড়া বাড়িতে ফেরার পথে পাড়ার মোড়ের পানের দোকান থেকে লটারির টিকিট কাটেন ৩০ টাকার। এ নেশা তাঁর নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই ভাগ্য পরীক্ষার জন্য লটারির টিকিট কাটেন। অভাবের সংসারে ৩০ টাকারই মূল্য অনেক। এইভাবে টাকা নষ্টের জন্য অশান্তিও হয় সংসারে। কিন্তু রবিবার অন্য কিছুই অপেক্ষা করেছিল টোটনের জন্য। সন্ধ্যায় সেখানে নম্বর মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ মহবুলের। দেখেন প্রথম পুরস্কার পাওয়া টিকিটটি তাঁরই। চোখে দেখে, কানে শুনেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না টোটন। দোকানদার বার বার বলার পর হুঁশ ফেরে তাঁর। পাছে কোটি টাকার পুরস্কার জেতা টিকিট বেহাত হয়ে যায়, তাই সোমবার আসানসোল থেকে সোজা রঘুনাথগঞ্জে নিজের বাড়িতে চলে যান। মঙ্গলবার সকালে বাবাকে নিয়ে হাজির হন ফাঁড়িতে। বাবা মজিবুল শেখও রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। দুজনে পুলিসের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে বসেন। পুলিস জানিয়েছে, ওই যুবক লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার খবর পেয়ে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। সেইমতো তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহবুল বলেন, কোটি টাকার লটারি জিতব তা স্বপ্নেও ভাবিনি। কারণ, আমি তেমন টিকিট কাটিনা, মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হলে ভাগ্য পরীক্ষা করতে ৩০ টাকা দিয়ে এক ঘর কেটেছিলাম। এই টাকায় একটি পাকা বাড়ি করব। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাব। আর ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রাখব। এদিকে মহবুলের লটারি জেতার খবর জানাজানি হতেই যুবকের বাড়ির সামনে ভিড় জমান এলাকাবাসী। এসারুলের মা পিও বিবি বলেন, উপরওয়ালা মুখ তুলে চেয়েছেন। এবার সুদিন ফিরবে। তবে ছেলে টাকা সঠিকভাবে খরচ করুক। মহবুলের স্ত্রী রুমা বিবি বলেন, খবর শুনে খুশি হয়েছি, তবে আমি চাই না ও ভবিষ্যতে আর টিকিট কাটুক।
  • Link to this news (বর্তমান)