• শিলিগুড়ির গ্রামীণ রাস্তায় বসবে ৬০০ সোলার লাইট, ৪৮টি হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভ
    বর্তমান | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: সন্ধ্যা নামলেই দুষ্কৃতীদের দাপট। আবার কোথাও কোথাও হাতি ও বন্যপ্রাণী চলে আসে। তাই শিলিগুড়ির গ্রামীণ এলাকায় বসানো হবে ৬০০টি সোলার লাইট। একইসঙ্গে চারটি ব্লকের জনবহুল এলাকায় বসানো হবে ৪৮টি হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভ। ইতিমধ্যে প্রশাসনিক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ। তারা এ ব্যাপারে জেলা পরিকল্পনা বিভাগের কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে। 


    পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় সোলার লাইটের এবং হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভের ব্যবস্থা করতে প্রায় ৪ কোটি টাকার প্রকল্প জেলা পরিকল্পনা বিভাগের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তা অনুমোদন হলেই গ্রামীণ এলাকা আলোকিত করার কাজে হাত দেওয়া হবে। মূলত চুরি, ছিনতাই, বাইক বাহিনী ও হাতির উপদ্রব রুখতেই এমন পরিকল্পনা।  মহকুমার মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া এই চারটি ব্লকের বহু গ্রামে এখনও পথবাতি নেই। সন্ধ্যার পর অমাবস্যার অন্ধকারে ঢেকে যায় গ্রামের রাস্তা। যার জেরে সংশ্লিষ্ট রাস্তাগুলিতে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটছে বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে গ্রামগুলিতে মাঝেমধ্যেই হানা দিচ্ছে হাতি। এনিয়ে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা এজন্য গ্রামীণ রাস্তাগুলিতে পথবাতির ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন। 


    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পথবাতি না থাকায় গ্রামগুলিতে নিরাপত্তার কোনও বালাই নেই। সন্ধ্যার পর গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে নিশ্চিন্তে চলাচল করা যায় না। মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে চলতে হয়। এমনকী সন্ধ্যার পর ঘুটঘুটে অন্ধকার হওয়ায় গ্রামগুলিতে আসতে চায় না টোটো, অটো। তাই গ্রামীণ রাস্তায় পথবাতির দাবি বহুবার প্রশাসনের সর্বস্তরে জানানো হয়েছে। অবশেষে গ্রামবাসীদের দাবি নিয়ে নড়েচড়ে বসে মহকুমা পরিষদ। কয়েকদিন আগে পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরিষদ সূত্রে খবর, চারটি ব্লকের ৬০০টি জায়গায় বসানো হবে সোলার লাইট। এ ধরনের লাইট খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া ব্লকে কিছু বেশি বসবে। এর বাইরে পরিষদের আটজন নির্বাচিত সদস্যকে ছ’টি করে হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভ প্রদান করা হবে। অর্থাৎ হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভ কেনা হবে ৪৮টি।
  • Link to this news (বর্তমান)