• বউকে আলাদা করে দেওয়ায় রাগের মাথায় শাশুড়িকে খুন  
    বর্তমান | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা করার পিছনে দায়ী শাশুড়িই। পুলিসি জেরায় কবুল শাশুড়ি খুনে গ্রেপ্তার বড় জামাইয়ের। চাঁচলের রাণিকামাতে শাশুড়িকে খুনের ঘটনায় ধৃত বড় জামাইকে দশদিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল চাঁচল মহকুমা আদালত। মঙ্গলবার হেফাজতের পাঁচদিন গড়িয়েছে। এই পাঁচদিনে পুলিসি জেরায় একাধিক কারণ উঠে এসেছে। 


    গত বুধবার চাঁচল থানার রানিকামাতে শোবার ঘর থেকে রমেনা বেগমের(৫০) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে চাঁচল থানার পুলিস। পরদিনই রাতে তাঁর বড় জামাই দীপু কর্মকারকে মালদহের ঝলঝলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে দশদিনের হেফাজতে নেয় পুলিস। দীর্ঘদিন ধরে তাকে ছেড়ে স্ত্রী ভিনরাজ্যে কাজে রয়েছেন। এর ফলে দীপু মালদহ সদরে কাজ করত। পেশায় সে ছুতোর। কাজ শেষে কখনও রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে আবার কখনও রোগীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশে থাকা হোমে রাত কাটিয়েছে। মাঝেমধ্যে চাঁচলে নিজের বাড়িতে আসত। পুলিস জানতে পেরেছে, খুনে ব্যবহৃত রডটি মালদহের একটি দোকান থেকে কেনা হয়েছিল। শাশুড়িকে খুন করে টিভি ও মোবাইল নিয়ে পালিয়েছিল জামাই। মোবাইল উদ্ধার হলেও টিভি পাওয়া যায়নি। টিভি ভেঙে ফেলে দিয়েছে বলে সে পুলিসকে জানায়। স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য বিবাদে শাশুড়িই ইন্ধন জোগাত বলে দাবি ধৃতের। পুলিসি জেরায় সে জানিয়েছে, শ্বশুর বেঁচে থাকাকালিন  একবছর আগে জামাইয়ের মোটরবাইকও কেড়ে নিয়েছিল। এরপরই স্ত্রীকে কায়দা করে আলাদা করে দেওয়া হয়। সেই রোষেই শাশুড়িকে খুন করেছে  বলে পুলিসের জেরায় জানিয়েছ ধৃত। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হতে পারে। মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)