মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব
বর্তমান | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বনাঞ্চল লাগোয়া বা তার মধ্য দিয়ে চলা রাস্তার ধারে ইলেকট্রিক ফেন্সিং ঠিক আছে কি না, মঙ্গলবার পরীক্ষা নিয়ে বৈঠকে জানতে চাইলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ২০২৩ সালে জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকিমারিতে দাঁতালের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। তারপরেই জঙ্গলের মধ্যে নতুন চেকপোস্ট, গেট বসানো, পুরনোগুলিকে সচল করা, বিদ্যুতের বেড়া দেওয়ার মতো কাজ শুরু করেছিল বন দপ্তর। গত বছর পরীক্ষায় তেমন সমস্যা হয়নি। তবে, গত কয়েক মাসে যেভাবে জনবসতি এলাকায় বাঘ এবং বুনো হাতি, দুইয়েরই অনুপ্রবেশ বেড়েছে, তাতে বাড়তি সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। উপদ্রুত এলাকাগুলিতে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা—প্রভৃতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিয়ে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন মুখ্যসচিব। বৈঠক বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, সংসদ এবং পর্ষদের সভাপতিরাও উপস্থিত ছিলেন। সার্বিকভাবে পরীক্ষার স্বচ্ছতার জন্যও বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন পরিদর্শকরাও মোবাইল ফোন তো বটেই, স্মার্ট ওয়াচ বা কোনও ব্লুটুথ ডিভাইস নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। রীতিমতো তাঁদের তা ঘোষণা করতে হবে যে এরকম কিছু তাঁদের কাছে নেই। প্রশ্নপত্র দেওয়ার আগে পরীক্ষার্থীদের সতর্ক করতে হবে মোবাইল ফোন বা সেই জাতীয় কিছু থাকলে জমা দেওয়ার জন্য। অফ করেও তা কাছে রাখা যাবে না। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন পেলে পরীক্ষা বাতিল তো করা হবেই, অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এদিন মাধ্যমিকের কন্ট্রোল রুম নম্বরও প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। (০৩৩) ২৩২১-৩৮১৩, ২৩৩৭-২২৮২ এবং ২৩৫৯-২২৭৭ নম্বরগুলি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম নম্বর। আঞ্চলিক অফিস ও আপৎকালীন প্রয়োজনে পর্ষদ কর্তাদের ফোন করা যাবে। নম্বর রয়েছে পর্ষদের ওয়েবসাইটে।