• বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত স্বামী
    বর্তমান | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দেওয়া হতো গৃহবধূকে। দাবি মতো টাকা না আনলে চলত অকথ্য অত্যাচার। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ২০১১ সালে আত্মঘাতী হন গৃহবধূ শম্পা চক্রবর্তী। তাঁর শ্বশুরবাড়ি ছিল টালা এলাকায়। মঙ্গলবার শিয়ালদহের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আবির চট্টোপাধ্যায় এই মামলায় মৃতার স্বামী দীপঙ্কর চক্রবর্তীকে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। আজ, বুধবার সাজার ঘোষণা করবেন।


    মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী অমলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ২০০৯ সালের ১৬ জানুয়ারি হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা শম্পার সঙ্গে বিয়ে হয় টালা থানা এলাকার গিরিশচন্দ্র চৌধুরী লেনের যুবক দীপঙ্করের। শম্পার বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে টাকা চাইত জামাই। একারণে মেয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করত। অত্যাচারের মাত্রা বাড়লে শম্পা ওই বাড়ি ছেড়ে আমাদের কাছে চলে আসে। ফের ওকে বুঝিয়ে‑সুজিয়ে জামাইয়ের বাড়িতে দিয়ে আসতাম। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। উল্টে মেয়ের উপর নির্যাতন বাড়তে থাকে। এক সময় তা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয় শম্পা। সেদিন ছিল ২০১১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। পরের দিন ২১ ফেব্রুয়ারি মৃতার বাবা রামপদ মান্না টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তার করা হয় স্বামীকে। পরে অবশ্য সে জামিন পায়। মাঝে নানা আইনি গেরোয় বিচার বিলম্বিত হয়। অবশেষে এদিন আদালত অভিযুক্ত স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে।
  • Link to this news (বর্তমান)