অয়ন ঘোষাল: সাতসকালে বিবাদী বাগের ব্য়াঙ্কশাল সিটি সিভিল কোর্ট চত্বরে চলল গুলি। আদালত চত্বরে মিলল এক গুলিবিদ্ধ পুলিসকর্মীর দেহ। কিছুটা দূরে পড়ে তাঁর সার্ভিস রিভালবার। প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে নিজের সার্ভিস রিভালবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিসকর্মী। তবে এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদালতের এক বিচারকের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই পুলিসকর্মী। ওই পুলিসকর্মীর নাম গোপাল নাথ। স্পেশাল ব্রাঞ্চের ওই পুলিস কর্মী মালদহ জেলার বাসিন্দা বলে সূত্রের খবর।
বুধবার সকাল সাতটা। অফিসপাড়ার ঘুম তখনও ভাঙেনি। বিচারভবনের কর্মকাণ্ড শুরুই হয়নি। হঠাত্ করে এক বিকট আওয়াজ পান স্থানীয় মানুষজন। তারাই ডাকেন নিরাপত্তাকর্মীদের। খবর যায় পুলিসে। পুলিস এসে মৃতদেহ তুলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে, দেখা যাচ্ছে যে জায়গায় ওই পুলিসকর্মীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে সেই জায়গা থেকে তাঁর পড়ে থাকা সার্ভিস রিভালবারের দূরত্ব কিছুটা বেশি। পুলিসের ধারনা, এরকমটা সাধারণভাবে দেখা যায় না। সেই ধারনা থেকেই পুলিস তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপুঙ্খ তল্লাশি শুরু করেছে। আনা হয়েছে স্নিফার ডগ, ফিঙ্গার প্রিন্ট এক্সপার্ট।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ নেই। কারণ যখন ওই ঘটনা ঘটেছে তখনও অফিসপাড়ার ঘুম ভাঙেনি। এলাকা তখন প্রায় সুনশান ছিল। সাড়ে আটটা বা নটা নাগাদ মানুষের আনাগোনা শুরু হয়। এখন কোন পরিস্থিতিতে ওই ঘটনা ওই পুলিসকর্মী ঘটালেন বা এর মধ্যে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে কিনা সেটাই এখন তদন্তের বিষয়। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি নিজের সার্ভিস রিভালবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা মনে হলেও এর মধ্য কোনও ফাউল প্লে রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। মৃত পুলিসকর্মী গোপাল নাথের হাতে গান পাউডার রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবেমিলিয়ে ফরেন্সিক টিম, স্নিফার ডক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্টরা একযোগে তদন্ত চালাচ্ছেন।