• কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে মিলল বিমার টাকা, দু’বছরের দুর্ভোগ মিটল ১৮ দিনে
    এই সময় | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, ঝাড়গ্রাম: ২০২৩ সালে মারা গিয়েছেন স্বামী। স্বামীর নামে এলআইসি–র ঝাড়গ্রাম শাখায় দু’টি বিমা পলিসি ছিল। বিধবা রুম্পা খিলাড়ি এলআইসি–র কাছে টাকার আবেদন করেন। অভিযোগ, হন্যে হয়ে ঘুরেও টাকা মিলছিল না। বছর দু’য়েক পরে মহিলা কোর্টের দ্বারস্থ হন। আর তাতেই সমস্যার সমাধান হলো মাত্র ১৮ দিনে। আদালতের নোটিস পেয়ে শুনানির আগেই বিধবার অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা পাঠালেন এলআইসি কর্তৃপক্ষ। ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় হাতে টাকা পেয়ে খুশি রুম্পা। তিনি মঙ্গলবার কোর্টে এসে টাকা পাওয়ার কথা জানালে বিচারক মামলার নিষ্পত্তি করে দেন।

    ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের ফুলবনি গ্রামের বাসিন্দা রুম্পা। স্বামীর মৃত্যুর পরে এলআইসি অফিসের ঝাড়গ্রাম শাখায় সব কাগজপত্র জমা দিয়ে একাধিক বার তদারকি করেও বিমার টাকা হাতে পাচ্ছিলেন না রুম্পা। তাঁর কথায়, ‘আমি ঝাড়গ্রামের এলআইসি অফিসের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে টাকার বিষয়ে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ আমার কথায় কোনও গুরুত্ব দেননি। এলআইসি–র রিজিওনাল অফিসেও জানাই। কোনও সুরাহা হয়নি।’ এর পর ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অধিকার–মিত্র রীতা দাস দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ হয় ওই মহিলার। রুম্পা তাঁর সমস্যার কথা গত ৩ জানুয়ারি লিখিত ভাবে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব বিচারক সুক্তি সরকারকে জানান।

    বিচারক অভিযোগ খতিয়ে দেখে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন। এলআইসি–র ঝাড়গ্রাম শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে চিঠি পাঠিয়ে শুনানির নোটিস দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রুম্পা আদালতে এসে জানান, ২১ জানুয়ারি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’টি পলিসির টাকা জমা করেছে এলআইসি। এ কথা শোনার পর বিচারক মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেন। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব বিচারক সুক্তি সরকার বলেন, ‘রুম্পার ন্যায্য পাওনা ছিল। তাই প্রি-লিটিগেশন মামলা রুজু করে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ জানানোর মাত্র ১৮ দিনের মধ্যে রুম্পা টাকা পেয়েছেন। তাই মামলাটির এ দিন নিষ্পত্তি করা হলো।’

  • Link to this news (এই সময়)