মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি-মৃত্যুর ঘটনায় সেখানকার অ্যানাস্থেশিয়োলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। মঙ্গলবার ভবানীভবনে প্রায় দু’ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির তদন্তকারীরা। গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুরের ওই হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচ প্রসূতি। পরে এক জনের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয় এক সদ্যোজাতেরও।
এর পরেই স্যালাইনের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ ওঠে, সেদিন সিনিয়র চিকিৎসকদের ওটিতে থাকার কথা থাকলেও তাঁরা ছিলেন না। যার মধ্যে রয়েছে পল্লবী বন্দোপাধ্যায়ের নামও। এ দিন ভবানীভবনে তাঁর কাছে ওই দিনের বিষয়ে জানতে চান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সে দিন ঠিক কী কী হয়েছিল বা তিনি ওটির সময় কী করেছিলেন সেই সব বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। এর আগে জুনিয়র-সিনিয়র মিলিয়ে দশ জনের বেশি চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিআইডির তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য রাজ্য সরকার ওই ঘটনা নিয়ে যে মামলা রুজু করে যার ভিত্তিতে তদন্ত করছে সিআইডি, সেই মামলার এফআইআরে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে পল্লবী বন্দোপাধ্যায়ের। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ওই হাসপাতালের ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে অ্যানাস্থেশিয়োলজি বিভাগের ওই সিনিয়র রেসিডেন্ট। অবশ্য ওই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। যার ভিত্তিতে পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতির নির্দেশ ছিল আপাতত ওই নিলম্বিত চিকিৎসককে গ্রেফতার করতে পারবে না সিআইডি বা পুলিশ। তবে তদন্ত চলবে বলে আদালত জানিয়েছিল। সেই সঙ্গে প্রসূতি মৃত্যু-কাণ্ডে অভিযুক্ত পল্লবীকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন বিচারক।