দত্তপুকুরে মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের পর ৪৮ ঘণ্টা পার। এখনও কাটা মুণ্ডর খোঁজ মেলেনি। তবে পুলিশের হাতে ময়নাতদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে, তাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞদের অনুমান, খুব ধারালো অস্ত্রের কোপে ধড় থেকে মুণ্ডু আলাদা করা হয়েছে। মূলত কসাইরা যে অস্ত্র ব্যবহার করে, এই ঘটনায় তেমনই কোনও অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের।
ইতিমধ্যেই ভিসেরা টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, পেটে কোনও অ্যালকোহল ছিল না। কিন্তু ঘটনাস্থলে মদের গ্লাস, চিপসের প্যাকেট পড়েছিল। তা হলে কি আততায়ী মদ্যপ ছিল, উঠছে সেই প্রশ্ন।
মাথা কাটা দেহ কার, পরিচয় খুঁজছে পুলিশ। মুণ্ডহীন দেহের বাঁ হাতে একটি হার্ট সাইন আঁকা ট্যাটু, সঙ্গে লেখা ‘B’ ও ‘R’। এই হাতের ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠানো হচ্ছে। মাথা কাটা দেহটি কার, তা জানতে এখন এই হাতই ভরসা। খোঁজ চলছে, হাতে এই রকম ট্যাটু আঁকা কেউ নিখোঁজ কি না। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি পরিবার বুধবার দেহ শনাক্তকরণের জন্য মর্গে যায়।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দত্তপুকুর থানার বাজিতপুরে কৃষি জমির পাশের মাঠে গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। গেঞ্জি দিয়ে বাঁধা ছিল হাত-পা, শরীরের একাংশ পোড়া, নিম্নাঙ্গ ছিল ক্ষতবিক্ষত। দু’ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও খোঁজ মেলেনি বামুনগাছিতে উদ্ধার হওয়া দেহের কাটা মুণ্ডর। স্থানীয় খালে ডুবুরি নামিয়ে দীর্ঘ সময় তল্লাশি চালিয়েও তার খোঁজ মেলেনি। বুধবারও পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে যায়। এলাকা ঘুরে দেখে তারা। আশেপাশের রাস্তায় কোথাও সিসিটিভি আছে কি না, তারও খোঁজ করছে তারা।