• ফের মাওবাদী পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য খড়দায়, তদন্তে গোয়েন্দা আধিকারিকরা 
    আজকাল | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাওবাদী পোস্টার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। তদন্তে নামলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায়। খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে। খড়দা রেল স্টেশনের মতো জনবহুল এলাকায় কারা মাওবাদী পোস্টার দিয়েছেন, পুলিশ তা তদন্ত শুরু করেছে। 

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে শিয়ালদা মেন শাখার খড়দা রেল স্টেশন চত্বরের বিভিন্ন দেওয়ালে বেশ কিছু মাওবাদী পোস্টার দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতের দিকে চার যুবক ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন চত্বরে পোস্টারগুলো মেরে আবার ট্রেনে উঠে চলে গিয়েছেন। ওই পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, ছত্রিশগড়, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশে বিপ্লবী কৃষক যোদ্ধাদের ওপর শাসক সরকার অত্যাচার করছে। তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বস্তার ও আবুঝমার-সহ বিভিন্ন জায়গা বিপ্লবীদের রক্তে ভেজা পথে এগিয়ে চলতে হবে। ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে মার্কসবাদী লেলিনবাদী মাওবাদী সংগঠন। সাদা কাগজের ওপর লাল ছাপা অক্ষরে ওই পোস্টারগুলি ছাপানো হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে রাতেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়। কলকাতার উপকণ্ঠে খড়দার মতো জনবহুল এলাকায় মাওবাদী পোস্টার পড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।  ‌

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে বারাসতের হৃদয়পুর এলাকা মাওবাদী শীর্ষ নেতা সৌমেন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারপর অবশ্য ওই এলাকায় মাওবাদী অস্তিত্বের তেমন কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি। ফের ২০২১ সালে খড়দা এলাকায় মাওবাদী পোস্টার পড়েছিল। তার ক'দিন পরেই হৃদয়পুর এলাকায় মাওবাদী পোস্টার দেখা যায়। মাওবাদী পোস্টার পড়ার ক্ষেত্রে খড়দা ও হৃদয়পুরের মধ্যে অদৃশ্য একটা যোগসূত্র আছে বলে গোয়েন্দা আধিকারিকরা মনে করছেন।
  • Link to this news (আজকাল)