জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'জিও-র গেটওয়ে হবে কলকাতা'। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য ধন্যবাদ জানালেন রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ আম্বানিকে।
লক্ষ্য, বিনিয়োগ। রাজ্য পালাবদলের পর, প্রতিবছরই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করে সরকার। গত বছর অবশ্য লোকসভা ভোটের কারণে শেষ মুহূর্তে সম্মেলনে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বলেন, 'চল্লিশটা থেকে দেশ থেকে, ভাবতে পারেন! ২৫ অ্যাম্বাসাডর আর হেড অপ দ্য মিশনরা এখানে এসেছেন। দু'হাজারেরও বেশি বিদেশ প্রতিনিধি এসেছেন। বাংলাকে ভুলবেন না, বাংলা আপনাদের ভুলতে পারবে না। অনেকে বলেন, কেন এই বাণিজ্য সম্মেলন? আমি বলি, আমরা শুরু করেছিলাম, এখন সব রাজ্যই করছে। ভুলটা কী আছে। ভবিষ্যত্ প্রজন্ম বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তৈরিতে উত্সাহ দিতে হবে'।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে আমরা দেশের মধ্যে এক নম্বর। মহিলাদের ক্ষমতায়নে আমরা এক নম্বর। এখানে মজবুত সরকার রয়েছে। কোনও কর্মদিবস নষ্ট হয় না। আগে বনধ, ঘেরাও সবই ছিল। শিল্প ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে এসব আমরা বন্ধ করেছি। সাধারণ মানুষ লাভবান হয়েছে। সাধারণ মানুষ ছাড়া কেউ টিকে থাকতে পারে না'।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুকেশজি সবই বলে দিলেন। আমার জন্য আর কিছুই বাকি নেই। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস. কালীঘাট মন্দির, বিষ্ণুপরী বালুচরী শাড়ি, মুর্শিদাবাদের সিল্প, সবই বলে দিয়েছেন। আশ্বাস দিলেন যে, ভবিষ্যতে কলকাতাই হবে জিও-র গেটওয়েট এবং মূল বাণিজ্যকেন্দ্র। দারুন! আমরা কিছু বলার নেই। এই জন্য় ওকে স্যালুট জানাই। আপনি আমাদের খুব ভালোবাসেন। আমরাও মুম্বইকে ভালোবাসি। গুজরাট, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, রাজস্থানকেও ভালোবাসি। সব রাজ্যকেই ভালোবাসি'।