• সুন্দরবন ঘোরানোর নামে দিল্লি থেকে ডেকে এনে অপহরণ! পুলিশের জালে ২
    প্রতিদিন | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বাসন্তীর দুই যুবক দিল্লিতে গিয়েছিলেন কাজের সূত্রে। সেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়। তাঁকে সুন্দরবন ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে দিল্লি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন সাদ্দাম মোল্লা। ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়। কালবিলম্ব না করে স্ত্রী পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পুলিশের তৎপরতায় বানচাল হয় অপহরণ। গ্রেপ্তার অন্যতম দুই অভিযুক্ত।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর সেলিম মোল্লা ও ঘুটিয়ারী শরীফের সৈয়দ আজগার আলি কাজের জন্য দিল্লিতে গিয়েছিলেন। সেখানে জনৈক সাদ্দাম মোল্লা নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়। ওই দুই যুবক সাদ্দামকে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য আমন্ত্রণ করেছিলেন। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করে সাদ্দাম ও তাঁর স্ত্রী সোমবার ক্যানিং আসেন সুন্দরবন বেড়াতে যাওয়ার জন্য।

    অভিযোগ, ওই দুই যুবক এলাকার একটি চায়ের দোকানে তাঁদেরকে বসিয়েছিলেন। এরপর তাঁরা সাদ্দামকে নিয়ে বেরিয়ে যান। চায়ের দোকানেই বসেছিলেন স্ত্রী। দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও স্বামী ও ওই দুই যুবক ফিরে আসেননি। এরপরই সন্দেহ হয় স্ত্রীর। শুরুতে তিনি কান্নাকাটি শুরু করেছিলেন। পরে স্থানীয়দের সাহায্যে ক্যানিং থানায় যান ওই মহিলা। সব কিছু জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    অভিযোগ পেয়েই পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। মোবাইল ফোনের লোকেশনও ট্রেসও করা হয়। রাতে বাসন্তীর সোনাখালি এলাকা থেকে অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হয়। উদ্ধার করা হয় সাদ্দামকেও। জানা গিয়েছে, প্রথমে সাদ্দামকে ঝড়খালিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে অপহরণ করে মোটা টাকা মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্য ছিল ধৃতদের। গতকাল মঙ্গলবার দুজনকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সাদ্দামের স্ত্রী উপস্থিত বুদ্ধিতে দ্রুত থানায় যাওয়াতেই তাঁদের ধরা সম্ভব হয়। এমন মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)