সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়বাজারের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ। নারায়ণ প্রসাদবাবু লেনের পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। বুধবার দুপুরের এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। ওই বাড়িতে বেশ কয়েকজন আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় থানার পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এদিকে, শহরে একের পর এক বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় কংগ্রেস কর্মীরা এদিন কলকাতা পুরসভা অভিযান করেন। তা নিয়ে পুরসভা চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।
কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। তারপর ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় পরপর দুটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ে। অন্যদিকে, ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার দক্ষিণ নারায়ণপুরের একটি বাড়িও হেলে পড়ে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনেও হেলে পড়ার বহুতলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। একের পর এক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত আবাসিকরা।
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদে সরব কংগ্রেস। হাতশিবিরের প্রশ্ন, পুরসভার নজর এড়িয়ে কীভাবে বহুতল নির্মাণ হল। পুরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন কংগ্রেসের। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের সামাল দিতে এদিন পুরসভা চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। গার্ডরেল দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। গার্ডরেল ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। তবে তাঁদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে পুলিশের গাড়িতেও তোলা হয়।