হাওড়ার মতিঝিল সংস্কারের অভাবে বুজতে বসেছে। আগাছা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে ঝিল। জবরদখল করে নির্মাণও হয়েছে! অভিযোগ, সব জেনেও নির্বিকার প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ঝিল সংস্কারের আশ্বাস দিল হাওড়া পুরসভা।
আরজি কর হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা রাধাগোবিন্দ কর। হাওড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মতিঝিল তাঁদেরই পরিবারের। কলাবাগান থেকে মালিকপাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা সুবিশাল এই ঝিলে এক সময় নৌকা চলত। হত মাছ চাষ। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য উপযোগী ছিল তা। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থার সব থেকে বড় ভরসা ছিল মতিঝিল। কিন্তু ২০০৫ সাল থেকে ওই ঝিলে মাছ চাষ বন্ধ হয়ে যায়। দ’পাড়ে ক্রমশ গড়ে ওঠে বসতি। বর্জ্য পদার্থ ও আবর্জনা ফেলা শুরু হয় জলে। নিজের মতো করে অনেকেই ঝিল ভরাট করে নির্মাণ করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রমা রায় নামে এক বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসন ও পুরসভায় জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানো হবে।’’
হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই ঝিল সংস্কার হবে। এ ব্যাপারে ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে।’’
তবে বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুরসভার আশ্বাস কার্যকর না হলে আগামী দিনে বড় আন্দোলন হবে। কর পরিবারের বর্তমান সদস্য পার্থ কর বলেন, ‘‘পূর্বপুরুষদের জমিদারি ছিল। তাঁরা মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে জল নিকাশি ও ব্যবহারের জন্য মতিঝিল ও পুকুর তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ওই ঝিল আজ বিপন্ন। এটি সংস্কার করা দরকার। কারণ, এর সঙ্গে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে।’’