• মাধ্যমিকের ফর্ম পূরণে ভুল, বিপাকে কিছু স্কুল
    আনন্দবাজার | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • চলতি বছরের মাধ্যমিকে পরীক্ষা শুরুর আগে উত্তরপত্র এবং প্রশ্নপত্র দেওয়ার সময়ে কোনও ঘরে নজরদারি করছেন যে শিক্ষক বা শিক্ষিকা, তাঁকে এক বার পরীক্ষার্থীদের মনে করিয়ে দিতে হবে, কেউ যদি মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্র এনে থাকে, তা হলে সেগুলি যেন অবিলম্বে তারা জমা দেয়। পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষার্থী এমন যন্ত্র-সহ ধরা পড়লে তার পুরো পরীক্ষাই বাতিল হয়ে যাবে।

    পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষকদের প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘‘মোবাইল বা অন্য বৈদ্যুতিন যন্ত্র না আনার ব্যাপারে এর আগে বার বার সতর্ক করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। শেষ বার তাদের সতর্ক করার জন্য এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল।’’

    এ বছরের মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। তার আগে মঙ্গলবার সল্টলেকে পর্ষদের সদর দফতরে এসে কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন, তাঁদের স্কুলে যে ছাত্রের নামে অ্যাডমিট কার্ড আসার কথা ছিল, তার নামে সেটি না এসে অন্য এক ছাত্রের নামে এসেছে, যার এ বার পরীক্ষা দেওয়ারই কথা নয়। এমন বিভ্রান্তি হয়েছে দুই ছাত্রের নাম একই হওয়ার কারণে। বাসন্তীর একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমার স্কুলে একই নামে দু’জন পড়ুয়া আছে। এক জন নবম শ্রেণিতে পড়ে, অন্য জন দশম শ্রেণিতে। দশম শ্রেণির পড়ুয়াটির মাধ্যমিক দেওয়ার কথা। অথচ অ্যাডমিট কার্ড এসেছে নবম শ্রেণির পড়ুয়ার নামে। এ বার অনলাইনে ফর্ম পূরণ হয়েছে। অনলাইনে নাম পাঠাতে গিয়ে হয়তো কিছু ভুল হয়েছিল। সেটাই সংশোধন করতে এসেছি। কেন হবে না? এক জন ছাত্রের একটা বছর কেন নষ্ট হবে?’’

    যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভুল পুরোপুরি স্কুল কর্তৃপক্ষের। অনলাইনে ফর্ম পূরণের পরে অফলাইনেও পড়ুয়ার স্বাক্ষর নিয়ে ফর্ম জমা দিতে হয়েছে। ফর্মে কোন ছাত্র সই করছে, সেটা কর্তৃপক্ষ দেখবেন না? তা ছাড়া আমরা জানুয়ারি মাসেও বলেছিলাম, ফর্মে ভুল থাকলে সংশোধন করে নিতে। তখনও এই ভুল নজরে আসেনি। স্কুলের গাফিলতিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর নতুন করে সংশোধন করা যাবে না।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)