• গোঘাটে ধান রোয়ার কাজে এসে কুঁড়েঘরে দগ্ধ হয়ে মহিলার মৃত্যু
    বর্তমান | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: ধান রোয়ার কাজ করতে এসে কুঁড়ে ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘুমন্ত অবস্থাতেই মৃত্যু হল এক মহিলার। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন আরও এক দম্পতি। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে খড়ের কুঁড়ে ঘরটি। মঙ্গলবার রাতে গোঘাটের শ্যামবাটি এলাকার ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম আশা বাউরি(৫৫)। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইন্দপুর থানার রামপুর এলাকায়। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 


    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাটি এলাকায় খড়ের ওই কুঁড়ে ঘরে দুই দম্পতি থাকতেন। ওই রাতে সেই কুঁড়ে ঘরে আচমকা আগুন লেগে যায়। কুঁড়ে ঘরে তখন ঘুমাচ্ছিলেন আশাদেবী। কিন্তু, তিনি আগুন টের পাননি। পাশের ঘরে থাকা দম্পতি অবশ্য কোনওভাবে বেরিয়ে আসেন। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা এসে জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। সেই সময় দগ্ধ অবস্থাতেই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে গোঘাট থানার পুলিস সেখানে যায়। পাশাপাশি আরামবাগ থেকে দমকল বাহিনীও যায়। পুলিস জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


    মৃতার স্বামী যদু বাউরি বলেন, দিন কয়েক আগে আমরা চাষের কাজে এখানে এসেছি। ওই রাতে গ্রামে একটি অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সেখানেই অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলাম। তারমাঝে এমন ঘটনা ঘটেছে। সম্ভবত মশা মারার ধূপ থেকে আগুন লেগেছিল। 


    স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ নাগ বলেন, ওই পরিবারগুলি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকায় চাষের কাজ করতে আসছেন। এখন বোরো চাষের সময়ও ধান রোয়ার কাজে এসেছিলেন। আগুন লাগার পর কুঁড়ে ঘরে থাকা অন্য দম্পতি আতঙ্কে বেরিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের ডাকতে এসেছিলেন। সেই সময় ওই মহিলা দগ্ধ হন। আমরা পরিবারটির পাশে রয়েছি। এদিন ময়নাতদন্ত হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)