বেলদা ক্লাবের উদ্যোগে গণবিবাহের আসর ও শোভাযাত্রা ঘিরে উন্মাদনা
বর্তমান | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, বেলদা: সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে বেলদা ক্লাবের উদ্যোগে গণবিবাহের আয়োজন করা হল। বুধবার সন্ধ্যায় ক্লাবের পুজো মণ্ডপে ১৫জোড়া যুগলের বিয়ে দেওয়া হল। টানা ১৩ বছর ধরে এই গণবিবাহের আয়োজন করে আসছে বেলদা ক্লাব। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগড়ের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট, মহকুমা পুলিস আধিকারিক রিপন বল, বিডিও কৌশিক প্রামাণিক সহ বিশিষ্টরা। ২০১২ সালে স্থানীয় কয়েকজন যুবককে নিয়ে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজের উদ্দেশ্যে বেলদা ক্লাব গড়ে তোলা হয়েছিল। পরে ২০১৩ সাল থেকে বেলদা সহ আশপাশের এলাকার সমাজ সেবামূলক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্লাবের সদস্যরা। করোনার সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল ক্লাব সদস্যদের। ২০১৩ সাল থেকেই ক্লাবের উদ্যোগে গণবিবাহ হয়ে আসছে। এবছর ১৫ জোড়া বর-কনেকে সাজিয়ে টোটোয় চাপিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে বেলদা কালী মন্দির থেকে বিয়ের আসরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে গৃহস্থালীর সামগ্রী ছাড়াও তাঁদের স্বনির্ভর করে তুলতে সেলাই মেশিন সহ অন্যান্য জিনিসপত্র দেওয়া হয়। দম্পতিদের আশীর্বাদ করেন উপস্থিত অতিথিরা। উপস্থিত সকলের জন্য এলাহি প্রীতিভোজের আয়োজন ছিল।
ক্লাবের অন্যতম কর্তা গোপাল সাউ, চন্দন মান্না বলেন ২০১২সাল থেকে আমাদের সমাজসেবামূলক কাজ করার ইচ্ছে থেকেই এই ক্লাবের জন্ম। শুধু গণবিবাহ নয়, ট্রাইসাইকেল বিতরণ থেকে পাঠ্যসামগ্রী, সমস্ত ধরনের সামাজিক কাজে আমরা জড়িয়ে থাকি। যে কোনও সমস্যায় পড়লে আমরা সাধারণ মানুষকে সাহায্য করি।
ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা মুরারী গিরি, অরবিন্দ গিরি, মানু জৈন বলেন, আমাদের ক্লাব বিগত ১২ বছর ধরে শতাধিক যুগলকে বিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ এভাবে আমাদের পাশে থাকলে আমরা আগামী দিনে আরও বড় কর্মকাণ্ডে এগিয়ে যেতে পারব। বেলদার জনগণকে ধন্যবাদ যে তারা আমাদের এই গণবিবাহকে বেলদার অন্যতম উৎসবে পরিণত করেছেন। ক্লাব সভাপতি সুজিত চক্রবর্তী বলেন, প্রথমবার নারায়ণগড়ের বিডিওর সহযোগিতায় বিয়ের দিনই ১৫জন যুবতী রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এজন্য রাজ্য সরকার ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।-নিজস্ব চিত্র