উত্তরের চার জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৯৯ হাজার ৮৯৪ জন
বর্তমান | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: এবার উত্তরবঙ্গের চার জেলার মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অর্ধেকেরও বেশি ছাত্রী। প্রশাসন সূত্রের খবর, চার জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৯৯ হাজার ৮৯৪ জন। এরমধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ৮৭৮ জন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্যই মাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। পরীক্ষার পাঁচদিন আগে এমন দাবি মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির সদস্যদের। একইসঙ্গে প্রতিটি জেলায় পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে জোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোথাও অতিরিক্ত যানবাহন নামানো হচ্ছে। আবার ফরেস্ট করিডরে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত স্কোয়াড। পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকবে বনদপ্তরের গাড়ি।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবার শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৯০ জন। যারমধ্যে ছাত্র ৫৬১৬ এবং ছাত্রী ৮০৭৪ জন। এখানে পরীক্ষার মেন ভেনু ৪১টি। জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির আহ্বায়ক সুপ্রকাশ রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী। সেজন্য মেয়েদের মধ্যে পড়াশোনার আগ্রহ বেড়েছে। তাই এবারও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি।
কোচবিহার জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৩৬ হাজার ৪৩। এরমধ্যে ছাত্র ১৫ হাজার ৭৫৩ এবং ছাত্রী ২০ হাজার ২৯০ জন। এখানে মোট ভেনু ১১৭টি। আলিপুরদুয়ার জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ২৩ হাজার ২৫৯ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ৫৫১ ও ছাত্রী ১২ হাজার ৭০৮ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র ৭০টি। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছে। পরীক্ষার দিনগুলিতে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার রুটগুলিতে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিএসটিসি। জলপাইগুড়ি জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ২৬ হাজার ৯০২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১১ হাজার ৯৬ ও ছাত্রী ১৫ হাজার ৮০৬ জন। এখানে মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ১০০টি।
এদিকে, পরীক্ষা সুষ্ঠুমতো করতে প্রতিটি জেলাই প্রস্তুতি বৈঠক করেছে। বিশেষ করে বনাঞ্চল ও চা বাগান এলাকার পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে পরীক্ষা কেন্দ্রে ও বাড়িতে পৌঁছে দিতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যপ্রাণীদের হামলার কথা মাথায় রেখে বনদপ্তর বক্সা ও জলদাপাড়া জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তি ও চা বাগানের পরীক্ষার্থীদের নিজেদের গাড়িতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেবে। পরীক্ষা শেষেও বাড়িতে পৌঁছেও দেবে। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের জন্য বনদপ্তর ক্যুইক রেসপন্স টিম তৈরি করছে। পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের জঙ্গলপথে বনরক্ষীও মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদপ্তর। একইরকম সিদ্ধান্ত বাগডোগরা বনদপ্তর নিয়েছে। বাগডোগরা বনাঞ্চল লাগোয়া এমএম তরাই, ডহরা বস্তি ও বাগডোগরা বনাঞ্চলের ভিতর অবস্থিত সেন্ট্রাল ফরেস্ট বস্তিতে পরীক্ষার্থী রয়েছে। বাগডোগরা বনদপ্তরের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া জানান, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া ও পরীক্ষা শেষে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। থাকবে বনদপ্তরের স্কোয়াড। জলপাইগুড়ি জেলার জঙ্গল এলাকার পরীক্ষার্থীদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২৫টি গাড়ির বন্দবস্ত করেছে বনদপ্তর।