মার্চেই শুরু চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর গড়ার কাজ! পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল
বর্তমান | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: আগামী মার্চের মধ্যেই কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে ল্যান্ডপোর্ট অর্থাৎ স্থলবন্দর গড়ার কাজ শুরু হতে পারে। বুধবার সীমান্ত পরিদর্শন করে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা। পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে জমি সংক্রান্ত সামান্য কিছু জটিলতা রয়েছে। সেটা খতিয়ে দেখতেই বুধবার এই স্থলবন্দর পরিদর্শন করে কেন্দ্রের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কভর সিং, সিনিয়র এগজিকিউটিভ অ্যাডভাইজার কর্নেল রমণকুমার শর্মা, মেখলিগঞ্জের বিএলআরও সুজন রায় প্রমুখ ছিলেন।
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, এখানে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে ল্যান্ডপোর্টের জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এরজন্য রাজ্য সরকারের তরফে জমিও জোগাড় করে দেওয়া হয়েছে। অধিগ্রহণ করা মোট ৩০ একর জমির মধ্যে ৫ একর খাসজমি। বাকি ২৫ একরের মধ্যে ২৩.৫ একর রেজিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে। বাকিটুকুও দ্রুত রেজিস্ট্রি হয়ে যাবে বলে আশা করছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্তারা। তাঁদের কথায়, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে জমি সংক্রান্ত সমস্ত জটিলতা মিটে যাবে। তারপরেই ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার হাতে জমিটি হস্তান্তর করা হবে। এরপর তারা বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ শুরু করতে পারবে। চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দলটি সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
মেখলিগঞ্জের বিএলআরও সুজন রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, এদিন পরিদর্শনে এসেছিলেন ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা। এই সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু জানারও চেষ্টা করেছেন। চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি ভুটান বাংলাদেশের মধ্যেও বৈদেশিক বাণিজ্য চলছে। বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাণিজ্য চালু রয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার কারণে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। এই অবস্থায় এই স্থলবন্দরের পরিকাঠামো গড়ার জন্য বিভিন্ন মহলের তরফে দাবি উঠে আসছিল। তাঁরা চাইছিলেন এই স্থলবন্দরকে ল্যান্ডপোর্টে উন্নীত করা হোক। অবশেষে তাঁদের দাবিতে সিলমোহর পড়তে চলেছে।
এলাকার ব্যবসায়ী তথা চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজকুমার কানু বলেন, দ্রুত ল্যান্ডপোর্টের কাজ সম্পন্ন হলে খুবই ভালো হবে। বাণিজ্য বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।