সীমান্তে বাংলাদেশের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ বিএসএফের, দুষ্কৃতী হামলায় ফের আক্রান্ত জওয়ান
বর্তমান | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়ি: বাংলা সহ পাঁচ রাজ্য মিলিয়ে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। আর এই আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন জায়গায় চলছে বেআইনি নির্মাণ। এবার বাংলাদেশি নাগরিক ও বাহিনীর এইসব বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপে’র সিদ্ধান্ত বিএসএফের। সীমান্তে বাংলাদেশের বেআইনি নির্মাণগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে বাহিনীর তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফিল্ড কমান্ডারদের। বুধবার সরকারি সূত্র থেকে একথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে ডিরেক্টর জেনারেল স্তরের বৈঠক হবে। তার ঠিক আগেই বাংলাদেশের বেআইনি নির্মাণ বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে ভারত।
সরকারি একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে সীমান্ত অঞ্চলে বাংলাদেশের প্রায় ৮০টি বেআইনি নির্মাণের ঘটনা বিএসএফের নজরে এসেছে। শিলিগুড়িতে বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের সদর দপ্তর থেকে ৩১ ডিসেম্বর জারি করা একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, বেআইনি নির্মাণের ঘটনা সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু বেআইনি নির্মাণ নয়, সীমান্তে অপরাধমূলক কাজকর্মও বাড়ছে। বুধবার নয়া একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, মালদহের পর এবার উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালায় সশস্ত্র বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। গঙ্গারামপুরের মল্লিকপুর সীমান্তে টহলরত জওয়ানদের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই চেষ্টায় বাধা দিলে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলায় এক জওয়ান জখম হন। বাধ্য হয়ে গুলি ছোড়েন জওয়ানরা। এতে এক বাংলাদেশি পাচারকারীও জখম হয়। বিএসএফের দাবি, মূলত পাচার ও ডাকাতির উদ্দেশ্যে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছিল ওই সশস্ত্র বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। এরইমধ্যে বিএসএফের আধিকারিকরা নির্দেশ দিয়েছেন, কড়া নজরদারি চালাতে হবে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫০ গজ দূরত্বের মধ্যে কোনও রকম বেআইনি নির্মাণের চেষ্টা চোখে পড়লেই তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। সম্প্রতি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে সীমান্তের কাছে এরকম বেআইনি নির্মাণকাজ বাড়ছিল। বিএসএফের কড়া প্রতিবাদের মুখে পড়ে তা বন্ধ করতে হয় বাংলাদেশকে।