সংবাদদাতা, বজবজ: মহেশতলার বাটা নিউল্যান্ড মাঠে ১১০ ফুটের সরস্বতী বিসর্জনের দিন নির্দিষ্ট ছিল বুধবার। এদিন গভীর রাতে ভাসান হবে বলে জানিয়েছিল মহেশতলার পুলিস। কিন্তু প্রতিমার আকার ও মণ্ডপের কাঠামো বড় হওয়ার কারণে নিরঞ্জনের প্রস্তুতি করে ওঠা সম্ভব হয়নি বলে জানান উদ্যোক্তারা। যত লোকবলের প্রয়োজন তা জোগাড় করতে পারেননি বলে জানান। তাই প্রশাসন বিসর্জনের জন্য অতিরিক্ত সময় দিয়েছে। বুধবারের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় হতে চলেছে নিরঞ্জন। ফলে অতিরিক্ত একদিন এই বিশাল সরস্বতী দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। ফলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা যাবে নিউল্যান্ডের প্রতিমা। তবে ওদিন গভীর রাতে এই মণ্ডপের ছোট প্রতিমার ভাসান হচ্ছে গঙ্গায়। তখনই শুরু হবে দীর্ঘকায় সরস্বতী প্রতিমা খণ্ড খণ্ড করার কাজ। এই কাজ শেষ করতে দু’থেকে তিনদিন লাগবে। বুধবার এ কথা জানান পুজো উদ্যোক্তা ও মহেশতলা পুরসভার ৩৪নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গোপাল সাহা। তিনি বলেন, ‘এত বড় কাঠামো গুটিয়ে আনতে প্রায় চারশো লোকবল ও যন্ত্র দরকার। তা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তাই বাড়তি দিন লাগবে।’ উদ্যোক্তারা জানান, এক ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিমা দেখতে বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান, নদীয়া, বীরভূম সহ সব জেলা থেকে মানুষ এসেছে। সম্প্রীতি উড়ালপুল সংস্কারের জন্য বন্ধ। ফলে বজবজ ট্রাঙ্ক রোড দিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষ এসেছেন বাটানগরে। উদ্বোধনের দিন ৫০ হাজার, দুই এবং তিন তারিখ প্রায় ১৫ লক্ষ দর্শনার্থী এসেছিলেন। এ কারণে বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রাত আটটার পর বাটার মুখেও গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়। এসেছে একাধিক পুরস্কার। ভিড়ের চাপ সঠিকভাবে সামাল দিয়েছে মহেশতলা পুলিস। নিজস্ব চিত্র