নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বুধবার দুপুরে লন্ড্রির পাশে থাকা সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল লন্ড্রি মালিকের বস্তাবন্দি পচাগলা দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড় থানার গয়েশপুরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। মৃতের নাম লক্ষ্ণণ সাউ (৫১)। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিপিন সাউ নামে তাঁরই সহকারী খুনের সঙ্গে জড়িত। পলাতক ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিস।
উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা লক্ষ্ণণ সাউ কয়েক বছর আগে ডোমজুড়ের গয়েশপুরে চলে আসেন। লন্ড্রির ব্যবসা করতেন তিনি। সেখানে জামা কাপড়ে রংয়ের কাজও করা হতো। মাসকয়েক আগে বিপিন সাউ নামে বিহারের এক বাসিন্দাকে তিনি নিয়ে আসেন। বিপিনকে সহকারী হিসেবে লন্ড্রিতে কাজে রাখেন লক্ষ্ণণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত শুক্রবার থেকে লক্ষ্ণণকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। তাঁর সহকারীও বেপাত্তা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই লন্ড্রির আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। রাতে ডোমজুড় থানার পুলিস এসে খোঁজাখুঁজি করেও কিছু পায়নি। বুধবার সকাল থেকে দুর্গন্ধ বাড়তেই ফের পুলিস আসে ঘটনাস্থলে। সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা ভাঙতেই ভিতরে বস্তাবন্দি দেহ দেখতে পাওয়া যায়। প্রায় পচে যাওয়া দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জেনেছে, একটি রঙের মেশিন বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল দু’জনের মধ্যে। সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের কারণেই লক্ষ্ণণকে খুন করেছে তাঁর সহকারী। মৃতের মাথায় ভারী আঘাত রয়েছে। লক্ষ্ণণকে শাবল জাতীয় কোনও বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করার পর তাঁর দেহ বস্তায় ঢুকিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে ফেলে দেয় বিপিন। এরপরই চম্পট দেয় সে। পুলিস জানিয়েছে, পলাতক সহকর্মীর খোঁজ চলছে। সে বিহারে পালিয়ে গিয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত লন্ড্রি মালিকের পরিবারের তরফে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।