• সরস্বতী পুজোর ভাসানেও কৃষ্ণনগরে ধুন্ধুমার, ফাটলো মাথা, ঝরল রক্ত
    এই সময় | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সরস্বতী পুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে অশান্তি কৃষ্ণনগরে। দুই পুজো কমিটির সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা বেড়ে হাতাহাতিতে পৌঁছল। দু'পক্ষের মারামারিতে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন সাধারণ মানুষ। বুধবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘূর্ণির পুতুলপট্টি এলাকা। মারামারিতে দু’জনের মাথা ফেটে যায়। জখম হন ৪-৫ জন। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর নাম জড়িয়েছে। যদিও তিনি দাবি করেন, অভিযোগের সত্যতা নেই। কাউন্সিলরের স্বামীর দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে রাস্তার উপর ঠাকুর রেখে গন্ডগোল করার চেষ্টা করা হয়েছে।

    বুধবার দাসপাড়া বারোয়ারি ও তুফান সংঘের প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় দুই কমিটির লোকজনের মধ্যে ঝামেলা হয়। তুফান সংঘের প্রতিমার সঙ্গেই ছিলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী নীতুরঞ্জন বিশ্বাস। অভিযোগ, ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গিয়েই এই অশান্তি শুরু।

    বুধবার রাতে বিসর্জনের ঘাটের দিকে যাওয়ার সময় পুতুলপট্টি এলাকায় দাসপাড়ার প্রতিমা আসতেই ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ, বাঁশ, লাঠি, হাঁসুয়া দিয়ে আক্রমণ করা হয় দাসপাড়ার এক যুবককে। তাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তাতে দু'পক্ষের ৪-৫ জন জখম হয়।

    আক্রান্তের পিসি বলেন, ‘কাউন্সিলরের লোকজন গালিগালাজ করে। দা দিয়ে কোপানো হয়েছে আমার ভাইপোকে।’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জখম যুবককে উদ্ধার করে।

    এর আগে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন ঘিরেও কৃষ্ণনগরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল সে সময়। ফি বছরই কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে কিছু না কিছু অশান্তির অভিযোগ ওঠে। একবার প্রাণহানিও হয়েছিল। কিন্তু সরস্বতী পুজোর ভাসান ঘিরেও যে এমন রক্তারক্তি কাণ্ড হবে তা ভাবা যায়নি।

    এ বিষয়ে কাউন্সিলরের স্বামী নীতুরঞ্জন বিশ্বাস জানান, তিনি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। দাসপাড়ার পুরোনো একটি গোলমালের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই সমস্যা তৈরি করে। একই সঙ্গে নীতুর দাবি, তিনি কাউকে মারধরও করতে যাননি। গোলমাল ঠেকাতে গিয়ে উল্টে তিনি মার খেয়েছেন।

  • Link to this news (এই সময়)