• বাঘরোল সংরক্ষণের বার্তা দিতে মহিলা কাবাডি
    এই সময় | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রাকিব ইকবাল, আমতা

    রাজ্যপ্রাণী মেছো বিড়াল বা বাঘরোল সংরক্ষণ নিয়ে বরাবরই সক্রিয় থেকেছে আমতা। এ বারও বাঘরোল সংরক্ষণের বার্তা দিতে জাতীয় খেলার আসর বসল আমতার গাজিপুরে।‌

    গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই বাঘরোল সংরক্ষণে চলছে অসংখ্য সচেতনতার শিবির, পদযাত্রা।‌ হাওড়া জেলাকে বলা হয় মেছো বিড়ালের ‘নিরাপদ’ বাসস্থান।‌ জেলার মধ্যে অবশ্য আমতা দুই নম্বর ব্লকেই রয়েছে বাঘরোলের আধিক্য।‌ কিন্তু বর্তমানে তারা কতটা নিরাপদ? কমছে জলাভূমির অংশ, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু, বাঘ ভেবে পিটিয়ে হত্যা, শিকার--এরকম ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে চলেছে এই রাজ্য প্রাণীর সঙ্গে। সেই প্রেক্ষাপটে রাজ্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে বন দপ্তর ও বিভিন্ন পরিবেশ সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জেলা জুড়ে।‌ এ বার সেই কর্মসূচিতে অভিনব ভাবনার প্রকাশ ঘটল।‌ খেলার মাঠেই দেওয়া হল রাজ্যপ্রাণী রক্ষার বার্তা। সে জন্য মাধ্যম করা হলো জাতীয় খেলা কাবাডিকে।

    আমতা দুই নম্বর ব্লকের গাজিপুর পঞ্চানন সংঘ তাদের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মহিলা কবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করল। খেলার থিম ছিল ‘মেছো বিড়াল সংরক্ষণে কাবাডি’।

    তৈরি হয়েছিল মেছোবিড়ালের ম্যাসকট। কাবাডি খেলায় অংশ নিয়েছিল জেলার আটটি মহিলা কাবাডি দল। সকল খেলোয়াড়ের হাতে মেছো বিড়ালের ছবি সম্বলিত একটি করে জার্সি তুলে দেওয়া হয়। জার্সিতে লেখা ছিল বাঘরোল সংরক্ষণের বার্তা। খেলায় উপস্থিত ছিলেন বন দপ্তর, জীব বৈচিত্র্য পর্ষদ, পরিবেশ সংগঠনের কর্তা ব্যক্তি ও জন প্রতিনিধিরা। এ দিন বেতাই-বাগনান রাজ্য সড়কের পাশে মেছো বিড়াল

    সংরক্ষণের বার্তা দিয়ে বসানো হল বোর্ড। সান্ধ্য অনুষ্ঠানে মেছো বিড়াল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়টি মানুষের সামনে তুলে ধরা হলো প্রোজেক্টরের মাধ্যমে।‌ গাজিপুর পঞ্চানন সংঘের সদস্য তথা পরিবেশ কর্মী দীপঙ্কর পোড়েল বলেন, ‘আমাদের ক্লাবে মহিলা কাবাডি খেলা বহু দিন থেকে চলে আসছে। বহু মানুষের সমাগম ঘটে এই আসরে। তাই আমরা মানুষকে সচেতন করতে এই মহিলা কাবাডি খেলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছি।’

  • Link to this news (এই সময়)