ফের রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর প্রধান মোহন ভাগবত। আগামী বছরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দশ দিনের জন্য রাজ্যে আসছেন আরএসএস-এর প্রধান। এই সফরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ-র সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি একাধিক জেলাও যাবেন তিনি। সঙ্ঘ প্রধানের এই সফরকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে জানিয়েছেন রাজ্যের আরএসএসের নেতারা।
কিন্তু কেন টানা ১০ দিন এই রাজ্যে থাকবেন আরএসএস প্রধান? আগামী বছরেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপিকে আরও বেশি আসন পেতে সাহায্য করতে পারে তাঁর সফর বলে মনে করছেন সঙ্ঘের নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে আরএসএস এবং বিজেপির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছিল। তবে মহারাষ্ট্রে পদ্ম-শিবিরের জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল আরএসএস। আগামী বছরের নির্বাচনে, পশ্চিমবঙ্গেও ২০১৯ সালের মতো সাফল্য পেতে চাইছে বিজেপি। নির্বাচনে আরও বেশি আসনে জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে আরএসএস, মনে করছেন সঙ্ঘের নেতারা। এই কারণেই মোহন ভাগবতের এই সফরকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা।
আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছবেন মোহন ভাগবত। তিনি ফিরবেন ১৭ ফেব্রুয়ারি। তাঁর ফেরার আগের দিনেই বর্ধমানে একটি প্রকাশ্য সমাবেশ করতে পারেন তিনি। এর আগে কখনওই টানা এতদিন পশ্চিমবঙ্গে থাকেননি আরএসএস প্রধান। এটাই হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে তাঁর দীর্ঘতম সফর।
আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক জিষ্ণু বসু জানিয়েছেন, এই সফরে দু’দিন কলকাতায় থাকবেন মোহন ভাগবত। একাধিক জেলা সফর করার পাশাপাশি কলকাতায় অখিল ভারতীয় তোলি সমাজ এবং আরএসএসের বিভিন্ন শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও আলাদাভাবে আলোচনা করবেন তিনি।
এই সফরে বর্ধমান-সহ একাধিক জেলায় সফর করবেন মোহন ভাগবত। সেখানে সংগঠনের আঞ্চলিক নেতা ছাড়াও বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ১৬ তারিখে বর্ধমানে একটি সভা করার কথাও আছে তাঁর। এটা আঞ্চলিক স্তরে তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন ওই নেতা। জিষ্ণু বসু জানিয়েছেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে হিন্দুদের মধ্যে স্বদেশী মনোভাব বৃদ্ধি জাগিয়ে তুলবে সঙ্ঘ প্রধানের এই সফর।
উল্লেখ্য, গত ৬ মাস ধরেই অশান্ত বাংলাদেশ। এর রেশ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। সেই কারণে এখানে অনেক কিছু পরিবর্তন করা দরকার বলে মনে করছেন আরএসএসের একাধিক নেতা।