আজকাল ওয়েবডেস্ক: কাঁচালঙ্কার লক্ষণ রেখা। হাতির কবল থেকে আলু বাঁচাতে। ডুয়ার্সের লোকালয়ে প্রায়ই চলে আসে হাতি। মূলত খাবারের সন্ধানেই হাতির পাল ঢুকে পড়ে এবং ক্ষেতের শস্য খেয়ে চলে যায়। যেহেতু এই মুহূর্তে ক্ষেতে আলু ফলে রয়েছে তাই তাদের দৃষ্টি পড়লে সেই আলু রক্ষা করা কঠিন। বিশেষ করে বহু চাষের ক্ষেতই জঙ্গলের লাগোয়া।
এই অবস্থায় আলু বাঁচাতে আলু ক্ষেতের চারধার দিয়ে ডুয়ার্সের কৃষকরা লঙ্কার গাছ লাগাচ্ছেন। ডুয়ার্সের মরাঘাট জঙ্গলের সোনাখালি বিট–এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেখানে আলু চাষ হচ্ছে সেখানেই ধরা পড়েছে এই ছবি। ক্ষেতের চারধার দিয়ে ঘন করে লাগানো হচ্ছে লঙ্কা গাছের চারা। কৃষকদের দাবি, কাঁচালঙ্কার ঝাঁঝালো গন্ধের জন্য হাতি এই গাছ এড়িয়ে চলে। ফলে ক্ষেতের চারধারে যদি কাঁচালঙ্কার গাছ লাগানো যায় তবে আলু বাঁচানো যেতে পারে। জমিতে কর্মরত মহিলা কৃষক মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বানর আর হাতির উৎপাতে আলু চাষ করতে পারি না। বানর যেমন ক্ষেতে ঢুকে আলু নিয়ে যায় তেমনি হাতি ঢুকে ক্ষেত নষ্ট করে আলু খেয়ে চলে যায়। সেকারণে ‘শিউলি’ নামে এক বিশেষ প্রজাতির লঙ্কা চাষ করছি। যাতে ক্ষেতে হাতি না ঢুকতে পারে।’
আলু ডুয়ার্সের ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি এলাকার প্রধান অর্থকরী ফসল। ফলনে যেমন লাভ হয় তেমনি খরচও হয়। এই অবস্থায় যদি হাতির তান্ডবে চাষের ক্ষতি হয় তাহলে কৃষক বড়সড় সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। আজিজুল হক নামে এক কৃষক বলেন, ‘এই এলাকায় হাতির অত্যাচার অনেক বেশি। গত বছর কৃষি জমিতে ঢুকে প্রায় চার থেকে পাঁচ বিঘা আলু চাষ নষ্ট করে দিয়েছিল। সেজন্যই আলু বাঁচাতে এবছর আমরা লঙ্কার চাষ করছি।’