মেদিনীপুরে স্যালাইন খারাপ ছিল না, হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা রাজ্যের
আজ তক | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুতে স্যালাইনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, স্যালাইনে ভেজাল ছিল। তবে সেই স্যালাইনকে ক্লিনচিট দিল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে ল্যাব রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয়।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। নির্দেশমতো, স্যালাইনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজ্যের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকেই রিপোর্ট আসে, স্য়ালাইনে কোনও সমস্যা ছিল না। অর্থাৎ সরকার রাজ্যের শীর্ষ আদালতে জানাল, লিঙ্গার ল্যাকটেটের স্যালাইনে কোনও সমস্যা ছিল না।
প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৫ প্রসূতি। প্রথমে একজনের মৃত্যু হয়। পরে আরও একজন মহিলা মারা যান। রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনে ভেজাল ছিল। আর তা দেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন রোগীরা। এমন দাবি ওঠে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে।
এদিকে অসুস্থ হয়ে পড়া আরও তিনজনকে গ্রিন করিডোর করে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সিআইডি-কে তদন্তভার দেওয়া হয়।
ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেন। হাসপাতালের সুপারকেও পরে সাসপেন্ড করা হয়। তবে এখন হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্টে সরকার জানিয়েছে, স্যালাইনে কোনও সমস্যা ছিল না।
এদিনের শুনানিতে রাজ্য সরকারের কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না। সরকারি আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দেওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবারের এক জন সদস্যকে চাকরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।