সমস্ত কর্মীদের নিয়ে সব পঞ্চায়েতেই কাজের পর্যালোচনা বৈঠক হবে। কাজের অগ্রগতি ও তার সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিডিও-র কাছে জমা দিতে হবে। বৈঠকে, কোন কাজের অগ্রগতি কী, কোন কাজে কোথায় সমস্যা তা তুলে ধরতে হবে। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর-১ ব্লকের তরফে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রামনগর-১ ব্লকের উদ্যোগে এই প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ, ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্তারা এবং পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেন নিয়ে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে বিডিও জানিয়ে দেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং অফিশিয়ালদের যৌথ উদ্যোগে সকল ধরনের প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণ করতে হবে। ‘বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ), ‘জল জীবন মিশন’, ‘আইসিডিএস’, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’, ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’, ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’, ‘গ্রে–ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’-সহ একাধিক প্রকল্পে বাড়তি নজর দিতেও বলা হয়েছে। বিডিও পূজা দেবনাথ বলেন, ‘কাজে গতি আনাই আমাদের লক্ষ্য।’
দিঘা সমুদ্র সৈকত এলাকা রামনগর-১, রামনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতি অধীনস্থ। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজ়নেস সামিটের মঞ্চ থেকে ইতিমধ্যেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দির সংলগ্ন এলাকার পাশাপাশি গোটা দিঘাকে সুন্দর করে গুছিয়ে তোলাই প্রশাসনের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দিঘার সামগ্রিক উন্নয়নে যাতে বাড়তি নজর দেওয়া হয়, সে ব্যাপারেও এ দিনের বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়।