মাধ্যমিকে অনেক পরীক্ষার্থীর সঙ্কট কাটিয়ে দিলেন বিচারপতি বসু
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এখনও রাজ্যের বহু স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা হাতে অ্যাডমিট কার্ড পায়নি। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত পড়ুয়ারা এর মধ্যে এই বিপত্তি। আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে চলা মাধ্যমিকের আগে এই অ্যাডমিট কার্ড মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এদিন নির্দেশ দেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ছটার মধ্যে সকল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে অ্যাডমিট কার্ড তুলে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে।’
সেই মর্মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ছ’টার মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পোর্টাল খুলে দেবে। সেখানে যে স্কুলে সমস্যা রয়েছে, তারা আবেদন জানাতে পারবে। আবেদন জানানোর পরে এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রবিবার হলেও তাদের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে যেতে হবে। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া যাবে।
আদালত এদিন অত্যন্ত কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছে স্কুলগুলিকে। বিচারপতি জানিয়েছেন, পর্ষদের ভুলে নয়, স্কুলগুলির নিজেদের ভুলে তাঁরা এখনও পর্যন্ত বহু ছাত্র-ছাত্রীর হাতে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড তুলে দিতে পারেন নি। আর সেজন্য গাফিলতিতে দোষী স্কুলগুলিকে দশ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
প্রসঙ্গত এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে একাধিক ঘটনা ঘটায় তা হাইকোর্টের নজরে আসে। মামলাটি নিয়ে আদালতে শুনানি হয়। তারপরই বৃহস্পতিবার আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে।
অন্য এক ঘটনায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আডমিড কার্ড বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিচারপতি মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। হুগলী জেলার বেলমুড়ি বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ভুল অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘তিন ছাত্রীর নাম এক হওয়াতে এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে’। দুই জন নবম শ্রেণীতে পড়ে এবং মামলাকারীর মেয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ে। দশম শ্রেণীর ছাত্রীটির মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা। অথচ অ্যাডমিট কার্ড এসেছে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর নামে। বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রীর বাবা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালতে পরীক্ষার্থীর আইনজীবী রয়েছেন শীর্ষেন্দু সিংহ রায়।
মামলাটির শুনানির পর এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন, শনিবার এবং রবিবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ২ টোর মধ্যে সংশোধন করতে এবং প্রধান শিক্ষিকাকে নির্দেশ দেন, রবিবার ছাত্রীর বাড়িতে সংশোধিত অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে দিতে।