জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। শুভেন্দু গড়ে ফের ধরাশায়ী বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার আরও একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে ফুটল ঘাসফুল। সবকটি আসনেই জিতল তৃণমূল। দুটিতে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়!
এগরার জুমকি সমবায় সমিতি পর এবার আলংগিরি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। নির্বাচনে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি। মোট আসন ১২টি। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবশ্য কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ চলে ১০ আসনে। কারণ, ২ আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল তৃণমূল। ভোটাভুটিতে বাকি ১০ আসনই গেল রাজ্যের শাসকদলের ঝুলিতেই।
এর আগে, এগরারই জুমকি সমবায় সমিতি নির্বাচনেই নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল তৃণমূল। ১২ আসনের ১২টিতেই জিতেছিল তারা। কাঁথি সমবায় সমিতিতে আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোট হয়েছিল। এ রাজ্যে যা নজিরবিহীন। ফলাফল? ১০৮ আসনের মধ্যে ১০১ আসনে জিতেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরাই। তবে ৭ আসন পেয়েছিল বিজেপিও। কিন্তু এবার তাও হল না।
রাজনৈতিক মহলে মতে, ছাব্বিশে বিধানসভা ভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুরে একে এক সমবায় নির্বাচনে বিজেপির হার অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি শান্তনু মাইতি বলেন, 'এই জয় থেকেই এটা প্রমাণ হয় যে, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। উন্নয়নের সঙ্গে আছে'।
এদিকে আলংগিরি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ভোট এই পরাজয় অবশ্য মানতে রাজি নয় পদ্মশিবির।এগরা ১ ব্লকের বিজেপি নেতা তাপস কুমা দে বলেন, 'ওই সমবায় বহুদিন ধরে ওরা (তৃণমূল) দখলে রেখেছে। নিজেদের লোককে বসিয়েছে, নিজেদের নতুন ভোটার তৈরী করেছে। কোনও উন্নয়ন চায় না, ভোটের রাজনীতি বোঝে। তাই এভাবেই রাজ্য জুড়ে নিজেদের ভোটার দিয়ে নির্বাচন করে জিতছে। আমরাও চেষ্টা করেছি। সামান্য ব্যবধানে ভোটে হেরেছি'। সঙ্গে দাবি, 'এটা কোন গণভোটও নয়। তবে ছাব্বিশ সালে গণভোট হবে। সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে কাকে নির্বাচিত করতে হবে'।