• সামান্য টাকার লোভে বন্ধুর গলায় সিটবেল্ট জড়িয়ে খুন! বারুইপুরে ব্যবসায়ী খুনে প্রকাশ্যে ‘মোটিভ’
    প্রতিদিন | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অর্ণব আইচ: সামান্য টাকার লোভে বন্ধুকে খুন! বারুইপুরে ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর টাকা হাতানোর জন্য প্রথমে অপহরণ করার ছক ছিল ৪ বন্ধুর। পরে গাড়ির সিটবেল্ট জড়িয়ে তাঁকে খুন করা হয়।

    সূত্রের দাবি, কসবায় সামান্য জুতো-বেল্ট সারানোর দোকানের মালিক ২৮ বছরের সোনু রাম আচমকাই ফ্ল্যাট কেনেন। হাতে বেশ কিছু টাকা এসেছিল তাঁর। তারপর থেকেই সেই টাকা হাতানোর ছক কষছিল বন্ধুরা। পরিকল্পনামাফিক ৩১ জানুয়ারি রাতে কসবা থেকে সোনুকে গাড়িতে তোলে বাকিরা। গাড়ি ছোটে খেয়াদহের দিকে। সামনের দিকে চালকের পাশে বসেছিলেন ব্যবসায়ী। গাড়িতে সকলেই মদ্যপান করছিলেন। সুযোগ বুঝে মোবাইলের পাসওয়ার্ড দেখে নেয় বাকিরা। তারপর সিটবেল্ট জড়িয়ে সোনুকে খুন করে। তারপর মোবাইল থেকে অমিত নস্করের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠায়। মোটে ১ লক্ষ টাকাই পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল তারা।

    এরপর সোনুর হাত-পা নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে দেহটি বারুইপুর খালে ফেলে আসা হয়। সকলেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিল। বুধবার দেহ উদ্ধারের পরই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, ৩১ তারিখ দোকান বন্ধ করে বেরনোর পর স্ত্রীয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল সোনুর। জানিয়েছিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি সোনু। ফোনও ধরেননি। রাতেই পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু হদিশ মিলছিল না। নিখোঁজ ছিলেন সঙ্গী অনুপও।

     ৫ ফেব্রুয়ারি বারুইপুরের খাল থেকে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তদন্ত শুরু হতেই জানা যায় উদ্ধার হওয়া দেহটি সোনু রামের। দেখা যায়, খুনের দিনই তাঁর ফোন থেকে ১ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল অমিত নস্কর নামে একজনের অ্যাকাউন্টে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ফাঁস ষড়যন্ত্র! সোনারপুরের বাসিন্দা অমিত জানায়, কিউআর কোড স্ক্যান করে অনুপ মণ্ডল এবং দীপ হালদার ওই টাকা পাঠিয়েছিল। এরপরই অনুপকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত অনুপ স্বীকার করে ব্যবসায়ী সোনুকে খুন করে দেহটি বারুইপুর খালে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই কুকীর্তির সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। তদন্তে নেমে মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখনও একজন পলাতক। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)