সরস্বতী পুজোর নামে প্রধান শিক্ষকের ঘরে ঢুকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া এবং তা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ মেমারির চোৎখণ্ড মগলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই ঘটনার জেরে পুজোই হল না স্কুলে। আতঙ্কে বাড়িতে বসে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস। মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ গত ৩১ জানুয়ারী শুক্রবার, স্কুলে নিজের ঘরে ছিলেন প্রধান শিক্ষক। সেই সময় স্কুলে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা সুমন্ত ঘোষ, বাসুদেব হাজরা, স্বরূপ কোলে-সহ আরও ১০-১২ জন। তাঁরা সরস্বতী পুজোর জন্য ৫ হাজার টাকা চায়। তা না দেওয়ায় বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি প্রধান শিক্ষকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে সেই সময় অন্য ঘরে থাকা স্কুলের অন্য দুই শিক্ষক জানিয়েছেন, তাঁরা স্কুলে থাকা সত্ত্বেও কিছুই জানেন না। প্রধান শিক্ষকও তাঁদের কিছুই জানাননি। মগলামপুর গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল হাকিম জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক। স্কুলে এই ঘটনা ঠিক নয়।
অভিযুক্ত সুমন্ত ঘোষ, বাসুদেব হাজরা উভয়েই জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে পড়ে। ওইদিন গিয়েছিলেন স্কুলে সরস্বতী পুজো হবে কিনা জানতে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি ঠাকুর কেনার টাকা দিয়ে দিয়েছেন, এর বেশি তিনি কিছু জানেন না। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
পাশাপাশি তাদের আরও অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক স্কুলে এসে ঘুমান, মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই আচরণে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে। অবিলম্বে এই প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে অন্য কাউকে নিয়ে আসা হোক। না হলে পড়ুয়ার অভাবে স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে।