ঘরের মধ্যে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানা এলাকার উদয়পুর দাসপাড়া এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী সুমনা হালদারকে খুনের পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী উজ্জ্বল হালদার। পরে তাঁকে আটক করে বনগাঁ থানার পুলিশ। সুমনা ওরফে সুপ্রিয়ার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
উদয়পুরের দাসপাড়া এলাকায় থাকেন উজ্জ্বল। স্থানীয়েরা দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতে স্থানীয়েরা খবর দেন বনগাঁ থানায়। তখনই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান উজ্জ্বল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুমনার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উজ্জ্বলকে আটক করা হয়েছে।
অভিযুক্তের মা আলো হালদার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারই বাপের বাড়ি থেকে বাড়িতে ফিরেছিলেন তাঁর পুত্রবধূ। কী করে এই ঘটনা ঘটল, তা তিনি জানেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি রান্নাবান্না করি। বাইরে কাজ করি। কী হয়েছে, জানব কী করে? সকালে আমি রান্না করছিলাম। পরে দেখি বৌমার রক্তাক্ত দেহ।’’ তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, মাঝেমধ্যেই পুত্র এবং পুত্রবধূর মধ্যে ঝামেলা হত। প্রতিবেশী অষ্টম দাস বলেন, ‘‘সকালে আমি বাড়ি ছিলাম না। এসে শুনি প্রতিবেশী যুবক স্ত্রীকে খুন করেছেন। ওরা বাড়িতে থাকত না। বাইরেই থাকত বেশি। বলতে পারব না গন্ডগোল হয়েছে কি না!’’