• শিলিগুড়িতে গ্রেপ্তার মধ্যপ্রদেশের মোবাইল চোর গ্যাংয়ের পাঁচ মহিলা
    বর্তমান | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: শহর শিলিগুড়িতে সক্রিয় মধ্যপ্রদেশের ‘মহিলা মোবাইল চোর গ্যাং’। কোলে শিশু নিয়ে তাদের আড়ালে টোটো, অটোর যাত্রীদের ব্যাগ মুহূর্তের মধ্যে কেটে হাপিস করে নিচ্ছে মোবাইল, মানিব্যাগ। কাজ হাসিল করেই টোটো, অটো থেকে নেমে সোজা পগার পার হয়ে যাচ্ছে তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড় থেকে ওই গ্যাংয়ের পাঁচ মহিলাকে গ্রেপ্তার করল নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিস। তাদের সঙ্গে ছিল দুই দুধের শিশু ও এক নাবালক। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের একাধিক এলাকায়। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে নামিদামি কোম্পানির ১০টি মোবাইল ফোন। 


    মোবাইলগুলি বিক্রির জন্য এদিক ওদিক ঘুরছিল তারা। খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। শিলিগুড়িতে তাদের আর কত সদস্য রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ধৃতদের কাছে এতগুলি ফোন কীভাবে আসল, তা নিয়েও তদন্ত শুরু করা হয়েছে। 


    শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, আমরা ওই গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের চক্রের আরও সদস্যদের সন্ধানে খোঁজ চলছে। তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল কোথা থেকে আসল, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই শিলিগুড়ি শহরের একাধিক এলাকাতে টোটো, অটোর যাত্রী মূলত মহিলারা দাবি করছিলেন যে, কোলে শিশু নিয়ে এসে পাশে বসে থাকা মহিলারা টাকার পার্স, মোবাইল চুরি করে পালাচ্ছিল। পরনে সাদামাটা নোংরা জামাকাপড়, ভাষায় অবাঙালি পরিচয় পেলেও, এমন মানুষ শিলিগুড়ির আনাচে কানাচে প্রচুর বসবাস করে। কাজেই পুলিসের পক্ষে ওই দলের সদস্যদের খুঁজে বের করা সহজ হচ্ছিল না। এরইমধ্যে এদিন পুলিস একই ধরনের কিছু মহিলা তিনবাত্তি এলাকাতে ঘোরাঘুরি করছে বলে জানতে পারে। এরপরেই পুলিস অভিযান চালায়। পুলিস দেখে প্রথমে আলাদা আলাদাভাবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই গ্যাংয়ের মহিলারা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিসের অভিযানে গ্রেপ্তার হয় ওই পাঁচ মহিলা। থানায় নিয়ে এসে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় ১০টি মোবাইল। প্রাথমিকভাবে কিছু পরিচয়পত্র দিয়েছে ধৃতরা। আধার কার্ড ছাড়াও দু-একটি নথিপত্র দিয়েছে তিনজন। তবে সেগুলি আসল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। 


    প্রাথমিক জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে শিলিগুড়িতে চুরির ঘটনা ঘটিয়ে কিষানগঞ্জ চলে যেত তারা। সেখানে কোনও এক গোপন ডেরায় আস্তানা ছিল তাদের। তবে পুলিসের জেলায় বারবার নিজেদের বক্তব্য পাল্টাচ্ছে ধৃতরা। আর এই অসংগতি থেকেই পুলিসের মনে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতের নিয়ে একাধিক প্রশ্নের সদুত্তর পেতে তদন্ত চালানো হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)