নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: কৃষিজমিতে পড়ে থাকা বোমা ফেটে জখম দুই নাবালক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের রতুয়া থানার চাঁদমুনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের হলদিবাড়িতে। জখম দুই নাবালকের নাম সামির আক্তার (১৩) এবং মহম্মদ ইমতিয়াজ (৯)। তাদের মধ্যে একজনের চোখে, কানে এবং হাতে আঘাত লেগেছে। আরেক নাবালকের দুই পা ও দুই হাতে আঘাত লেগেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনকেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম দুই নাবালক সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই। এদিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাদের দাদু আব্দুল ওয়াহাব আলি বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে শুনলাম আমার নাতিরা মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিল। ওই জমিতেই বোমা পড়েছিল। ওরা সেটা নিয়ে খেলছিল। বোমাটি ফেটে গিয়ে ওরা গুরুতর জখম হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি ভুট্টা খেতে বাড়ির গবাদিপশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিল সামির ও ইমতিয়াজ। বাড়ি থেকে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই জোরালো বিস্ফোরণ হয়। বোমা ফাটার বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ঘটনাস্থল। ধোঁয়া দেখেই সেখানে ছুটে যান দুই নাবালকের পরিবারের সদস্য সহ গ্রামবাসীরা। তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন অর্ধদগ্ধ অবস্থায় মাঠে পড়ে রয়েছে সামির ও ইমতিয়াজ। তৎক্ষণাৎ তাদের উদ্ধার করে প্রথমে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জখম দুই নাবালকের আত্মীয় সাবিনা খাতুন বলেন, বাচ্চারা জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিল। সেখানেই বোমা ফেটে জখম হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় বেশকিছু প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। তাদের প্রশ্ন, ওই এলাকায় কারা কী কারণে বোমা মজুত করেছিল? তাহলে কি এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা সম্পর্কে কোনও খবরই ছিল না পুলিসের কাছে? এলাকাবাসীরা জানান, কোথা থেকে এই বোমা এল। কারাই বা এই বোমা মজুত করল কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রতুয়া থানার পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে।