নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যেন চলমান সংবাদপত্র। ঘুরে বেড়াচ্ছে মেলাজুড়ে। এক স্টল থেকে অন্য স্টলে যাওয়ার পথে নজর টানছে সবার। বই ছেড়ে অনেকেই তাকিয়ে রয়েছেন সেদিকে। না, এটা কোনও খবরের কাগজ নয়, আস্ত একটা শাড়ি। সেই শাড়ি গায়ে জড়িয়ে স্টলে স্টলে ঘুরছেন বইপ্রেমী অঙ্কিতা। সোদপুরের বাসিন্দা অঙ্কিতা মুখোপাধ্যায় বারাসত ২ নম্বর ব্লকে কৃষিদপ্তরের কর্মী। স্বামী কুণাল বিশ্বাস রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মরত। এই দম্পতি বইমেলা প্রাঙ্গণের যে প্রান্তে গিয়েছেন, সেদিকে কেউ সোজাসুজি, কেউ আড়চোখে জরিপ করেছেন শাড়িকে। ক্যালকাটা জার্নালিস্টস ক্লাবের স্টলে দেখা অঙ্কিতাদেবীর সঙ্গে। সেখানে তখন উপস্থিত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা। স্বভাবতই এই শাড়িকে ঘিরে বাড়তি উৎসাহ দেখা দেয় তাঁদের মধ্যে। নিজেদের সৃষ্টি যেন উঠে এসেছে শাড়ির ভাঁজে।
কথা প্রসঙ্গে শাড়ির মালিক বলেন, ‘অনেকের শাড়িতে দেখেছি নানা লেখালেখি থাকে। তবে আমি তেমন হরফ চাইনি। এক বান্ধবী এই ধরনের শাড়ি তৈরি করেন। তাঁকে খবরের কাগজের প্রস্তাবটা দিতেই লুফে নেন তিনি। এরপর মলমলের সাদা থান কিনে দিয়ে আসি। শেষমেশ খবরের কাগজের পাতাকে স্ক্যান করে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে ছেপে দেন তিনি। হেডিং, কপি, ছবি, এমনকী ছবির ক্যাপশনও হুবহু উঠে এসেছে সাদা মলমলের ক্যানভাসে। বইমেলা উপলক্ষ্যেই এই নতুন শাড়ির পাট ভাঙলাম।’ পাশ থেকে কুণালবাবুর উক্তি, অন্যান্য স্টলেও অনেকে ঘাড় ঘুরিয়ে চেয়ে চেয়ে দেখেছেন হালফিলের এই ফ্যাশনকে।