সৈকত শহরে ফের নজরে ‘অবৈধ’ হোটেল। বেআইনি ভাবে উপকূলে হোটেল তৈরির অভিযোগে মন্দারমণি ও তাজপুরের ১২টি নির্মাণ বন্ধ করল মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ। হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ।
দিঘা, মন্দারমণি বা তাজপুরের সৈকতে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও মন্দারমণিতে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে ১৪০টি হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নতুন আরও ১২টি হোটেলকে বৃহস্পতিবার বন্ধ করার নোটিস ধরিয়ে দেওয়া হয়। হোটেলগুলি থেকে একাধিক নির্মাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাদের অভিযোগ, উপকূল বিধি লঙ্ঘন করে মন্দারমণি ও তাজপুরে ১২টি হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে।
গত বছর নভেম্বরে মাসে কোস্টাল রেগুলেটেড জ়োন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি-র জেলা কমিটির তরফে মন্দারমণি এবং সংলগ্ন চারটি মৌজার মোট ১৪৪টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ২০ নভেম্বরের মধ্যে ওই সব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। ২০২২ সালেও এই সব বেআইনি হোটেল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হয় হোটেল মালিকদের সংগঠন। জেলাশাসকের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলা বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। যদিও এর আগে হোটেল ও রিসর্ট ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে ‘বুলডোজ়ার নীতি’-র বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।